পাঠক নেই বরিশাল বিভাগীয় সরকারি গ্রন্থাগারে
সবার মাঝে জ্ঞান বিতরণের জন্য চারতলা বিশিষ্ট বিশাল ভবনে হাজারো বই নিয়ে বহু বছর আগে গড়ে তোলা হয়েছে বরিশাল বিভাগীয় সরকারি গ্রন্থাগার । এর আয়তন প্রায় ছয় হাজার বর্গফুট। বিভিন্ন রকমের বই, চেয়ার টেবিল, পড়ার পরিবেশ সবই আছে। শুধু পাঠক নেই। দু’চারজন যারাও যান, তারা বিনা পয়সায় কয়েকটি পত্রিকার হেডলাইনে চোখ বুলিয়েই চলে আসেন। বইয়ের প্রতি আগ্রহ নেই তাদের।
লাইব্রেরি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, সাধারণ কক্ষগুলোতে ৮৭ হাজার বই এবং জাতীয় ও আঞ্চলিক মিলিয়ে ১৫টিরও বেশি পত্রিকা ও রয়েছে। এছাড়াও গবেষণার জন্য চতুর্থ তলায় রয়েছে আলাদা ব্যবস্থা। কিন্তু বই সাজানো থাকলেও পাঠকদের তেমন পদচারণা নেই এখানে। স্বাক্ষরখাতা থেকে জানা গেছে, পুরো লাইব্রেরির তিনটি পাঠকক্ষ মিলিয়ে দৈনিক পাঠকের সংখ্যা মাত্র ১৫০ জন। পাঠকরা বলছেন, স্মার্ট মোবাইল ফোনে সময় ব্যয় হচ্ছে বেশি। তাছাড়া এখন সবাই চাকরির জন্য বিভিন্ন গাইড জাতীয় বই বেশি পড়া হচ্ছে। একই সাথে লাইব্রেরি খোলা থাকে সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। এ সময়ে সবারই কমবেশি ব্যস্ততা থাকে। এছাড়া শুক্র-শনিবার লাইব্রেরি থাকে বন্ধ। ফলে ইচ্ছা থাকলেও অনেকে এখানে আসতে পারেন না।
এই লাইব্রেরিতে শিশু কর্নারে আকর্ষনীয় নানারকম টয়ব্রিকস, গোছানো পাঠকক্ষ আর শিশু-কিশোরদের উপযোগী ১৫ হাজারেরও বেশি বই রয়েছে। শুধু পাঠক নেই। বিকেলে কিছুলোক আসলেও বেশিক্ষণ থাকে না। লাইব্রেরিতে গিয়ে দুজন শিশুর সঙ্গে দেখা পাওয়া যায়। তারা জানায় প্রতিদিন স্কুলের পড়াশোনার চাপে লাইব্রেরিতে আসার সময় হয় না।
লাইব্রেরির উপপরিচালক ড. মোহাম্মদ আহসানুল্লাহ্ জানান, সংস্কৃতি পরিষদের এই বিভাগটি সবসময়ই থাকে অবহেলিত। আগ্রহ থাকলেও যথেষ্ট কর্মীর অভাবে সেবা দিতে পারেন না তারা। তবে পাঠকদের লাইব্রেরীমুখী করতে বিভিন্ন বিদ্যালয়কে চিঠি দেয়া হয়েছে। একই সাথে এ বিষয়ে সচেতনতা বাড়াতে আরো বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানান উপ-পরিচালক।
আরজেএন