মুলাদীতে প্রকাশ্যে এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা

বরিশালের মুলাদীর বাটমারা ইউনিয়নের টুমচর গ্রামে আধিপত্যের দ্বদ্ধে পূর্বশ্রুতার জেরে প্রকাশ্যে রুবেল শাহ (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে।
বুধবার ( ৩ জানুয়ারী ) সকাল সাড়ে ৮ টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত রুবেল বাটামারা ইউনিয়নের টুমচর গ্রামের মৃত সেকান্দার শাহর ছেলে এবং একই ইউনিয়ন পরিষদের ১, ২ ও ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সংরক্ষিত নারী সদস্য নার্গিস বেগমের স্বামী।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া।
নিহতের স্ত্রী নার্গিস বেগম জানান, রুবেল শাহ নরসিংদী জেলায় বিরিয়ানীর ব্যবসা করেন। সংসদ নির্বাচনে জাপা প্রার্থীর পক্ষে কাজ করতে ৩দিন আগে বাড়িতে আসেন। বুধবার সকালে রুবেল শাহ বাড়ি থেকে জাগরনী বাজারে যাওয়ার পথে মোকছেদ আকনের বাড়ির সামনে পৌঁছলে লোকমান ডাকাত, ফারুক হাওলাদার, রফিক সরদার, আব্বাস ব্যাপারী, মনির সরদার, আ. রাজ্জাক, দুলাল হাওলাদারসহ ২০-২৫ জন লোক রামদা, চাপাতি ও লাঠিসোটা নিয়ে হামলা চালায়। হামলাকারীরা রুবেল শাহকে এলোপাথারি কুপিয়ে ফেলে চলে যায়। সংবাদ পেয়ে বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে বরিশাল হাসপাতালে নেওয়ার পথে কালকিনি খাসেরহাট এলাকায় তার মৃত্যু হয়।
বাটামারা ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মো. সালাহ উদ্দীন অশ্রু জানান, রুবেল শাহ লাঙল প্রতীকের পক্ষে কাজ করছিলেন। তবে নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা নিয়ে কারও সঙ্গে দ্বদ্ব কিংবা বাগবিতান্ডা হয়নি। বাটামারা ইউনিয়নে হাজী ও আকন গ্রুপের মধ্যে প্রায় ২৩ বছর ধরে বিরোধ ছিলো। বরিশাল জেলা পুলিশ ও মুলাদী থানা পুলিশের মধ্যস্থতায় গত বছরের ২০২৩ সালের ২২ জুলাই ওই দুই পক্ষের মধ্যে একটি শান্তিচুক্তি হয়েছে। পূর্ব শত্রুতার জেরে শান্তিচুক্তি ভেঙে একটি গ্রুপ রুবেল শাহকে কুপিয়ে হত্যা করে থাকতে পারে।
মুলাদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাকারিয়া বলেন, ওই গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে হাজী গ্রুপ ও আকন গ্রুপের মধ্যে দীর্ঘদিনের বিরোধ ছিল। এর জের ধরে রুবেলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এইচকেআর