বরিশাল-৫ আসনের ট্রাক প্রতীকের মঞ্চে উঠলো আ' লীগ নেতারা

অবশেষে সরগরম হয়ে উঠেছে বরিশালের নির্বাচনী মাঠ। শেষ মূহুর্তের প্রচার প্রচারণায় বরিশাল ৫ আসনে ট্রাক প্রতীকের সালাউদ্দিন রিপনের পাশে দাঁড়িয়েছেন বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগের বড় একটা অংশ।
যে কারণে নারীকর্মী নির্ভর সালাউদ্দিন রিপনের উঠান বৈঠক জনসভায় পরিণত হয়েছে বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর বিএম স্কুল মাঠে। কানায় কানায় পরিপূর্ণ মাঠের জনসভা মঞ্চ সাজানো হয়েছে দুটো ট্রাক দিয়ে। আর সে ট্রাকের পিঠে দাঁড়িয়ে গর্বিত সালাউদ্দিন রিপন বললেন, আমি কিছু নিতে আসিনি, দিতে এসেছি। আমৃত্যু আপনাদের সেবা দিয়ে যাবো।
সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ শাহীনের সঞ্চালনায় প্রধান বক্তা সালাউদ্দিন রিপন আরো বলেন, আমি নির্বাচিত হতে পারলে, আপনার আমাকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করলে প্রতিটি ঘরের বয়স্ক লোকের ভাতা সঠিকভাবে দেয়া হবে। বরিশালের মানুষ আর কর্মহীন থাকবেনা। প্রত্যেকটি মানুষকে কর্মের ব্যবস্থা করে দেয়া হবে ইনশাআল্লাহ। ছাত্র, ছাত্রীরাও আর বেকার থাকবেনা।
তাদেরকেও চাকুরীর ব্যবস্থা করে দেয়া হবে। আমি ব্যাবসায়ী, তাই বরিশালে বিভিন্ন শিল্প – প্রতিষ্ঠান খোলা হবে। যাতে বরিশালকে বাংলাদেশের ভিতরে একটি ব্যাবসায়িক রোল মডেল হিসেবে তুলে ধরে যায়, সেই চিন্তা চেতনা নিয়েই আমাদের সামনে আগাতে হবে।আমি আপনাদের এক টাকার হকও নষ্ট করবোনা।
আমার নিজের পরিশ্রমের টাকা দিয়ে নির্বাচনের সকল কাজ আমি করে যাচ্ছি। এর আগে ট্রাকের মঞ্চে এসে রিপনের পক্ষে ভোট চেয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৫ আসনে ভোটের হিসাব পাল্টে দিয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ অনুসারীরা।
হঠাৎ করে বৃহস্পতিবার সাদিকের অনুসারীরা সবাই স্বতন্ত্র ট্রাক প্রতীকের প্রার্থী সালাহউদ্দিন রিপনের উঠান বৈঠকে উপস্থিত হন এবং তার পক্ষে ভোট চাইতে শুরু করেন। এ সময় তারা বরিশাল-৫ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল অবঃ জাহিদ ফারুক শামীম এমপির তীব্র সমালোচনা করেন।
বরিশাল বিএম স্কুলের মাঠে বিকেল তিনটায় এ জনসভার প্রধান অতিথি ছিলেন প্রবীন আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুবউদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম। এছাড়া নগরীর ১৯ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর গাজী নইমুল হোসেন, ৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর রফিকুল ইসলাম খোকন, ৫ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর কেফায়েত হোসেন রনি, আওয়ামী লীগ নেতা আরিফিন মোল্লা, মহানগর আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক নিরব হোসেন টুটুল, মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগ নেত্রী নিগার সুলতানা হনুফা, মহানগর শ্রমিক লীগের সভাপতি পরিমল চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক রইজ আহম্মেদ মান্না, জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব খান, মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক মাইনুল ইসলাম সহ মহানগর আওয়ামী লীগের ৩০ ওয়ার্ড ও সদর উপজেলার নেতৃবৃন্দ এতে যোগ দেন এবং ট্রাকের পক্ষে শ্লোগান তোলেন। সমাবেশে সালাহউদ্দিন রিপন ও তার স্ত্রী মিফতাহুল জান্নাত লুনা বক্তব্য রাখেন।
সভার প্রধান অতিথি আওয়ামী লীগ নেতা মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বীরবিক্রম বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচন উমুক্ত করে দিয়েছেন। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ ও শ্রমিক লীগসহ নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে কোনো বাধানিষেধ নেই।
আর সেরনিয়াবাত সাদিক পন্থী নেতারা বলেন, আমরা এতোদিন অপেক্ষা করেছি। কিন্তু নৌকার প্রার্থী আমাদের ডাকেনি। তিনি প্রশাসন দিয়ে নির্বাচনে জিতে যাবেন ভাবছেন। কিন্তু এবার আর তা হবে না। বিপুল ভোটের ব্যবধানে আমরা ট্রাককে জয়ী করবো। আওয়ামী লীগের বড় অংশ ও সাধারণ সমর্থকদের উপস্থিতিতে প্রাণবন্ত জনসভায় পরিণত হয় ট্রাকের এই উঠান বৈঠকটি।
এইচকেআর