বরিশালে ১৬ দিনে ঠান্ডাজনিত রোগে ১০ শিশুর মৃত্যু

হঠাৎ করেই দক্ষিণাঞ্চলে জেঁকে বসেছে শীত। গতকাল বুধবারও সকাল ৬টা পর্যন্ত বরিশালের তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। শীতের তীব্রতা বৃদ্ধির সাথে বেড়েছে ঠান্ডাজণিত রোগ। যাতের বেশিই আক্রান্ত হচ্ছে শিশু এবং বৃদ্ধরা।
বরিশাল বিভাগীয় স্বস্থ্য পরিচালকের কার্যালয়ের তথ্য মতে, গত ১৭ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত ঠান্ডাজণিত নানা রোগে আক্রান্ত ১৬ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজণিত রোগে মৃত্যু হয়েছে তিনজনের। সে হিসেবে হাসপাতালটিতে ঠান্ডাজণিত রোগে প্রতিদিন গড়ে এক শিশুর মৃত্যু হচ্ছে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বরিশাল বিভাগীয় কার্যালয় থেকে জানা গেছে, বিভাগের বিভিন্ন হাসপাতালে চলতি মাসে চিকিৎসা গ্রহণ করেছে সাড়ে পাঁচ হাজার রোগী। এদের মধ্যে ঠান্ডাজণিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭ জন শিশুর মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া শ্বাসতন্ত্রের প্রদাহজনিত রোগে তিনজনের মৃত্যু হয়।
এর মধ্যে গত শনিবার ভোলা সদর হাসপাতালে নিউমোনিয়ায় তিন মাস বয়সী এক নবজাতকের মৃত্যু হয়। একই রোগে ঝালকাঠিতে আরও এক নবজাতক মারা গেছে। এছাড়া আরও একজন মারা গেছেন ঠান্ডাজনিত রোগে।
এদিকে শেবাচিম হাসপাতালের শিশু ওয়ার্ডে ৪৫ শয্যার বিপরীতে প্রতিদিন সেবা নিচ্ছে ৮ থেকে ৯ গুণ রোগী। এতে করে ওয়ার্ডের মেঝে ও চলাচলের পথে বিছানায় চিকিৎসা দিতে হচ্ছে শিশুদের। হঠাৎ করে রোগীর চাপ বৃদ্ধি পাওয়ায় সেবা দিতে হিমশিম খাচ্ছেন চিকিৎসক এবং নার্সসহ সংশ্লিষ্টরা।
শেবাচিম হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. মনিরুজ্জামান শাহিন বলেন, শিশু ওয়ার্ডে শয্যা কমসহ নানান সীমাবদ্ধতার মধ্যেও আমরা সর্বোচ্চ সেবা দিয়ে যাচ্ছি। ঠান্ডাজনিত যেকোন রোগের ক্ষেত্রে দ্রæত চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়ার আহŸান জানান তিনি।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য পরিচালক ডা. শ্যামল কৃষ্ণ মÐল বলেন, ‘অসহনীয় শীতের কারণে ঠান্ডাজনিত রোগী বেড়েছে। কারণ শীতকালে মানুষের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায়। চিকিৎসা সেবার ক্ষেত্রে আমাদের অনেক সীমাবদ্ধতা রয়েছে। তার মধ্যেও আমরা চিকিৎসা সেবায় সেরাটাই দেয়ার চেষ্টা করছি।
এমএন