স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশে সবচেয়ে দূরদর্শী শাসক ছিলেন জিয়াউর রহমান


শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান প্রসঙ্গে ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সভাপতি জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, স্বাধীনতা-উত্তর বাংলাদেশের শাসকদের মধ্যে আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধের দিক থেকে এবং ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ গঠনে জিয়াউর রহমানের অবদান সবচেয়ে বেশি।
তিনি আরও বলেন, তার দূরদর্শিতার কারণে পার্বত্য চট্টগ্রামে বাংলাদেশ তার অবস্থান শক্তভাবে রাখতে সক্ষম হয়েছে। পাশাপাশি স্বাধীনতার পরে এদেশের ইসলামকে মুছে দেওয়ার পার্শ্ববর্তী দেশের নীলনকশা মিশিয়ে দিয়েছেন শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান। আর বেগম খালেদা জিয়ার আপসহীন কথাবার্তা ও বডিল্যাংগুয়েজ নিঃসন্দেহে এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের মানুষের মনে জায়গা করে নিয়েছে।
নিজ সংগঠনের আলোচনা সভা শেষে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের আয়োজিত কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে শিবির সভাপতি এসব কথা বলেন। মঙ্গলবার (১১ মার্চ) বিকেল ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মুক্তমঞ্চে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করা হয়।
রাবি শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহীর সভাপতিত্বে এসময় উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানুল্লাহ আমান। এসময় রাবি শাখা ছাত্রদলের অন্যান্য নেতাকর্মীরাও উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শাখা ছাত্রদলের আহ্বায়ক সুলতান আহমেদ রাহী বলেন, ‘শহীদ জিয়াউর রহমান একজন মুসলিম শাসক ছিলেন। তিনি কোরআনের আলোকে রাজনীতি করে দেশ পরিচালনা করেছেন। সব কর্মকাণ্ডের শুরুতে বিসমিল্লাহ পড়ার নিয়ম কিন্তু জিয়াউর রহমানই চালু করেছিলেন। তাই আমরা জিয়াউর রহমানের শেখানো পথকে অনুসরণ করে এ কোরআন তেলাওয়াত প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছি। শিক্ষার্থীদের সৎ ও দেশপ্রেম নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য কোরআনের বিকল্প নেই।’
প্রসঙ্গত, একই দিনে রাবি শাখা ছাত্রশিবিরের কোরআন বিতরণ এবং আলোচনা সভা ছিল। নিজ সংগঠনের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য শেষে ছাত্রদলের অনুষ্ঠানে উপস্থিত হন শিবির সভাপতি জাহিদুল ইসলাম। এসময় ছাত্রদলের পক্ষ থেকে তাকে বক্তব্য দেওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়।
