মঠবাড়িয়ায় কামিল মাদ্রাসার সাবেক অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে মামলা


পিরোজপুরের মঠবাড়িয়ায় বেগম শেখ ফজিলাতুন্নেছা মহিলা কামিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম শরীফের বিরুদ্ধে সীমাহীন প্রতারণা ও দুর্ণীতির অভিযোগে দুটি মামলা হয়েছে।
প্রতারণার শিকার নাজমীন বেগম জানান, তিনি ওই মাদ্রাসায় সহকারি গ্রন্থাগারিক পদে কর্মরত। কিন্তু মাদ্রাসা অধ্যক্ষ তাকে চাকরীচ্যুত করে (অধ্যক্ষ থাকা কালীন সময়) তার ছেলেকে ওই পদে চাকরি দেয়ার জন্য বিভিন্নভাবে দৌড়-ঝাপ করে আসছিলো। এক সময় অধ্যক্ষ তাকে জানান প্রধান গ্রন্থাগারিক না থাকায় বিশ্ব সাহিত্যের বই সংগ্রহের আবেদনের জন্য সাদা কাগজে স্বাক্ষর করা প্রয়োজন। গত ১৫ অক্টোবর'১৬ তারিখ একটি সাদা কাগজে তিনি স্বাক্ষর করে অন্যান্য কাগজপত্র সহ একটি ফাইল টেবিলের ওপর রেখে ওয়াশ রুমে যান। এরপর বেরিয়ে দেখে টেবিলের ওপর থেকে ফাইলসহ চুরি হয়ে গেছে। এ ঘটনায় তিনি মঠবাড়িয়া থানায় একটি জিডিও করেন।
২১ মাস পর অধ্যক্ষ তার ওই পদটি শূণ্য দেখিয়ে ব্যাংকের কাছে বেতন বিল ফরম দাখিল করেন। এ ঘটনা জানতে পেরে নাজমীন বেগম বাদী হয়ে অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে পিরোজপুর জজ কোর্টে একটি মামলা দায়ের করেন। এ মামলা করায় পূর্বের চুরি করে নেয়া ওই স্বাক্ষরিত সাদা কাগজটিতে অব্যহিত পত্র লিখে নাজমীন বেগমকে চাকরীচ্যুত দেখান।
এ ঘটনায় আবারও নাজমীন বেগম অধ্যক্ষ মাওলানা আবুল কালাম শরীফকে আসামী করে মঠবাড়িয়া সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যজিস্ট্রেট আদালতে একটি প্রতারণা মামলা করেন।
বিজ্ঞ আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে সরকারি হাতেম আলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষককে তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। এ ব্যাপরে মাওলানা আবুল কালাম শরীফ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, নাজমীন বেগম স্বেচ্ছায় চাকুরী থেকে অব্যহতি নিয়েছে। মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা সরকারি হাতেম আলী মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক রুহুল আমিন বলেন, তদন্তের জন্য সরেজমিনে গেলে এবং একাধিক বার নোটিশ করলেও মাওলানা আবুল কালাম শরীফ কোন গুরুত্ব দেয়নি।
এইচকেআর
