ঢাকা শুক্রবার, ২২ অগাস্ট ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম

ভাণ্ডারিয়ায় কঠোর বিধিনিষেধ প্রশাসনের

ভাণ্ডারিয়ায় কঠোর বিধিনিষেধ প্রশাসনের
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পিরোজপুরের ভাণ্ডারিয়ায় করোনা সংক্রামন ভাইরাস (কোভিড’১৯)এর দ্বিতীয় ঢেউ মহামারি আকারে রূপ নেয়ায় সারাদেশ ব্যাপি সরকারের দেয়া এক সপ্তাহের লক ডাউনের তৃতীয় দিন শনিবার ভাণ্ডারিয়া বাজারে সাপ্তাহিক হাটের দিন থাকায় জনসমাগম উদ্বেগ জনক হাড়ে বেড়ে যায়।

এদিকে উপজেলা প্রশাসন,পুলিশ প্রশাসন,র‌্যাব,সেনাসদস্যদের টহল থাকলেও কিছু অসাধু ব্যাবসায়ী প্রশাসনের সাথে ইদুর বিড়াল খেলা শুরু করে। তখনই প্রশাসনের তৎপরতা বাড়তে দেখা যায়। 

স্বাস্থ্য বিধি মানা সহ উপজেলা বাসিকে সুরক্ষায় রাখতে উপজেলা প্রশাসন,স্বাস্থ্য বিভাগ,পৌরসভা,জাতীয় পার্টি-জেপি’র উদ্যোগে চলছে প্রচারনা মাইকিং। এছাড়াও  নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সহকারী কমিশনার ভূমি মো. তৌহিদুল ইসলাম প্রতিদিনের ন্যায় নিজেকেই বাজারে প্রচারনা মাইকিং করতে দেখা গেছে।

এদিকে পুলিশের পক্ষ থেকে উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। এছাড়া বাজারের বিভিন্ন ঔষধের দোকানে খোঁজ নিয়ে জানাযায় তাদের কাছে যতো ডাক্তারি প্রেসক্রিপশন আসে তার মধ্যে ৮০ভাগই শর্দি,জ্বর,কাশির। 

ফার্মেসি গুলোতে নাপা ট্যাবলেট,সিরাপ বা অনুরুপ জাতিয় সকল প্রডাক্টস বন্ধ থাকায় তার সংকট দেখা দিয়েছে। কারন জানতে চাইলে তারা জানান, এম.আরগণ বলেন কোম্পানিতে সাপ্লাই দিতে নাড়ায় তা বন্ধ। এদিকে বিকাশ কেয়ারের নামে সেখানে চলে মোবাইল সামগ্রী বিক্রয়,ফ্লেক্সিলোড।যা সরকারি নির্দেশনায় বন্ধ থাকার কথা। অন্যদিকে উপজেলা প্রশাসনের জর”রী সভায় সিদ্ধান্ত মোতাবেক উপজেলার সকল এলাকার চা,পান,বিড়ি,সিগারেট,খাবার হোটেল বন্ধ রাখার কথা। 

সরেজমিনে শুক্রবার বিকেল থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত উপজেলার বিভিন্ন স্থানে ঘুরে দেখা গেছে,গ্রামাঞ্চলের অধিকাংশ দোকানপাট খোলা। এসকল দোকানে বসে কাস্কবীহিন ৮/১০বশে গল্পগুজবে মেতে আছে। এদের সাথে কৌশলে আলাপকালে তারা জানান,গ্রামে আর আসবে কখন। আসলেও মোড়ে মোড়ে লোক আছে আসছে জানালেই বন্ধ করে দেব। 

অন্যদিকে ৩জুলাই শনিবারও ভাণ্ডারিয়া দুপুর দেড়টা পর্যন্ত ৪০জনের মধ্যে ২০জন আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে। তার মধ্যে ৮জন আইস্লেশনে আছে। স্বাস্থ্য বিভাগের তথ্যমতে করোনার প্রথম ঢেউয়ে অন্যান্য স্থানের চেয়ে এ উপজেলার চিত্র ভাল ছিল। কিন্তুু বর্তমানে খুলনা , চট্রগ্রাম থেকে পণ্যবাহী ট্রাক গুলো অনবরত আসার ফলে ভারতীয় ডেল্টা প্লাস ভেরিয়েন্ট বেশি শনাক্ত হওয়ায় ঝুঁকির সংখ্যা একটু বেশি বলে উপজেলা স্বাস্থ্য বিভাগ মনে করছে। 

তবে এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ ননী গোপাল রায় জানান, মানুষ চসেতন হলে এ অবস্থা দ্রত কমে যাবে।  ওসি মো. মাসুমর রহমান বিশ্বাস জানান, আমাদের পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ উপজেলার মূল পাঁচটি প্রবেশদ্বারে পুলিশি চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। এছাড়াও বাজার সহ অন্যান্য ইউনিয়নেও টহলরত পুলিশ কাজ করছে।  উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও পৌর প্রশাসক সীমা রানী ধর জানান, প্রশাসনের পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক ভাবে সরকারি নির্দেশনা মোতাবেক আমরা কাজ করে যাচ্ছি। 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

সর্বশেষ