যা বললেন ২১ আগস্টে শহীদ দেহরক্ষী মাহাবুবের বাবা-মা


ছেলে হারানোর কষ্ট কখনো ভোলার নয়। ছেলে নেই, সে আর আসবে না। দুঃসহ তার স্মৃতিটুকু বয়েই বেঁচে আছি। একজন মা ই জানে ছেলে হারানোর কষ্টটা।
বলছিলেন, ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলায় নিহত আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনার দেহরক্ষী মাহবুবুর রশিদের মা হাসিনা খাতুন।
তিনি বলেন, এই হামলার কিছুদিন আগে মাহবুবকে একটি ঘড়ি উপহার দিয়েছিলেন জননেত্রী শেখ হাসিনা। কয়েকদিন ব্যবহার করে স্মৃতিস্বরূপ আমার কাছে দিয়ে যায় মাহবুব। ঘড়িটার দিকে তাকালেই মনে পড়ে আমার মাহবুবের কথা।
তিনি বলেন, আমি মাহবুবের মা- এ কথা ভেবে এখন আমি গর্ববোধ করি।
মাহবুবুর রশিদের বাবা হারুন-অর-রশিদ বলেন, ২১ আগস্ট আসলেই সবাই মনে করে মাহবুবের কথা। তার আগে তো কেউই মাহবুবের পরিবারের খোঁজ নিতে আসে না। আমরা কি করছি? কি খাচ্ছি? কিভাবে বেঁচে আছি তার খোঁজ কেউ রাখে না? আপনারা এই দিন হলেই আসেন আমাদের বাড়িতে।
তিনি বলেন, মাহবুব আমার সন্তান ছিলো এ কথা ভাবতে আমার বুকটা গর্বে ভরে যায়। আমি এমন এক সন্তানের পিতা যে তার নিজের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে শহীদ হয়েছে।
শহীদ মাহবুবুর রশিদ কুষ্টিয়ার খোকসা উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকা ফুলবাড়ীয়া গ্রামের গরীব কৃষক পরিবারের ছেলে। তিনি ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউতে আওয়ামী লীগের সমাবেশের গ্রেনেড হামলায় নিহত হন। তিনি সে সময় শেখ হাসিনার দেহরক্ষী হিসাবে দায়িত্বরত ছিলেন।
ফুলবাড়ীতে শায়িত রয়েছেন এই বীর। সরকারিভাবে তার কবর সংরক্ষণ করা হয়েছে। তবে তার মৃত্যুদিনে পারিবারিকভাবে ছাড়া স্থানীয় আওয়ামী নেতাকর্মীদের কোন অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে দেখা যায় না।
এসএম
