পায়রার ইলিশ বিক্রি হচ্ছে পাড়েই


বরগুনার পায়রা নদী থেকে ধরে আনা ইলিশ বিক্রি হচ্ছে পাড়ে বসেই। তাজা ও দাম নাগালে থাকায় আগ্রহ নিয়ে কিনছেন ক্রেতারা।
সোমবার (২২ নভেম্বর) সন্ধ্যায় পায়রা নদীর তীরবর্তী পুরাকাটা ফেরিঘাট সংলগ্ন রাস্তায় এমন দৃশ্য দেখা যায়।
স্থানীয় জেলেরা জানান, জোয়ারের সময় পায়রা নদীতে জাল ফেলেন তারা। ভাটা হলেই জাল তুলে ইলিশ সংগ্রহ করেন। এরপর ফেরি টার্মিনাল সংলগ্ন রাস্তায় বসেই সন্ধ্যা থেকে রাত পর্যন্ত চলে ইলিশ বিক্রি। বিভিন্ন জায়গা থেকে বাসে করে আসা যাত্রীরা এবং স্থানীয় অনেকেই মাছ কেনার জন্য ভিড় করেন এখানে।
ক্রেতা ফেরদৌস খান বলেন, আমি বরিশাল থেকে বরগুনা ফিরছি। রাস্তার পাশে এমন তাজা মাছ দেখে গাড়ি থামালাম। এখন কয়েক কেজি কিনবো। ইলিশগুলো বেশি বড় না, আবার জাটকাও না। প্রতি কেজি ইলিশের দাম চেয়েছে ৪০০ টাকা।
আরেক ক্রেতা মাহফুজ আহম্মেদ বলেন, কাল আমাদের একটা বিয়ের অনুষ্ঠান আছে। তাই মাছ নেওয়ার জন্য বিকেল থেকে অপেক্ষা করছি। কিছুক্ষণ আগে জেলেরা মাছ নিয়ে ফিরেছে। মাছগুলো একদম তাজা। বেছে বেছে বড় সাইজের ১৩ কেজি মাছ নিয়েছি। কেজি প্রতি ৫২০ টাকা ধরা হয়েছে।
বিক্রেতা হানিফ মাঝি বলেন, নদীতে তেমন মাছ নাই। যে পরিমাণ পাই তা নিয়ে বাজার পর্যন্ত গেলে পোষায় না। তাই মাছ ধরে সরাসরি এখানে বসেই বিক্রি করি।
আরেক বিক্রেতা রহমান ফকির বলেন, বিভিন্ন জায়গা থেকে লোকজন আসে এখানে। তাজা মাছের চাহিদা থাকায় দু-তিন ঘণ্টার মধ্যেই বিক্রি হয়ে যায়। তবে নদীতে মাছ তুলনামূলক কম। নিষেধাজ্ঞার পরও ইলিশ পাই না।
জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বিশ্বজিৎ কুমার দেব বলেন, বরগুনার প্রধান নদীগুলোর মধ্যে পায়রা একটি। এখানে কয়েক হাজার জেলে মাছ ধরে। তবে সব জায়গার মতো পায়রায়ও ইলিশ কম পাওয়া যাচ্ছে। জেলেদের অসচেতনতার জন্য ইলিশের দেখা মিলছে না।
এইচকেআর
