ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ: আমতলীতেরবিশস্যর ব্যাপক ক্ষতি


ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদে আমন ধান, বিভিন্ন রকমের সবজি ও খেসারি ডালের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এবছর আমন ধানের বাম্পার ফলন দেখে কৃষকের বুকভরা হাসি ছিলো। ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদ কৃষকদের সেই বুক ভরা হাসি কেড়ে নিয়েছে। এখন বুক চাপা কষ্ট নিয়ে শুধু ফসলের ক্ষেতের দিকে তাকিয়ে আছে কৃষকরা।
বরগুনার আমতলীতে অসময়ে টানা ৩ দিন ধরে বৃষ্টি হওয়ায় কৃষকদের ফলানো ধান ও খেসারী ডালসহ রবিশস্যের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এতে করে কৃষকরা মাঠে মারা পড়েছেন। যেন কৃষকদের মাথায় হাত পড়েছে।
কৃষি কর্মকর্তার ধারনা কৃষকদের ফলানো রবিশস্যের ব্যাপক বেশি ক্ষতি হয়েছে। কৃষি অফিসের তথ্য মতে এ বছর আমতলী উপজেলায় ৩ হাজার হেক্টর জমিতে খেসারী ডালের আবাদ হয়েছে । অসময়ে ৩ দিনের টানা বর্ষার কারনে ৫০০ হেক্টর খেসারি ডালের ক্ষতি হয়েছে। শীতকালীন শাকসবজি চাষ হয়েছে প্রায় ৫০০ হেক্টও জমিতে এই তিন দিনের বৃষ্টিতে প্রায় ৫০ হেক্টর জমির শাকসবজির ক্ষতি হয়েছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কৃষকদের ফলানো খেসারি ডালসহ বিভিন্ন রবিশস্যও ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে । কৃষকরা জানায়, গত শনিবার থেকে সোমবার পর্যন্ত ৩ দিনের টানা বৃষ্টির কারনে পঁচে গেছে খেসারি ডালসহ বিভিন্ন রবিশস্য।
গুলিশাখালী ইউনিয়নের কৃষক সুমন মিয়া জানান, তিনি এবার ২ বিঘা জমিতে প্রায় দেড় হাজার টাকা ব্যয় করে খেসারি ডাল চাষ করেছে ।বৃষ্টির পানিতে তার সব খেসারি ডাল পঁচে গেছে।
অসময়ে টানা ৩ দিনের বৃষ্টিতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হওয়ার কথা স্বীকার করে আমতলী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সিএম রেজাউল করিম বলেন, তাদের কর্মকর্তারা মাঠে রয়েছেন। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদেরকে এখন ধান ও মুগ ডাল রোপনের পরামর্শও দেওয়া হচ্ছে। এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। তিনি আরো বলেন, এ বিষয়ে সরকার যদি অন্তত কৃষকদের জন্য প্রনোদনা বা বিনামূল্যে বীজ বিতরণ করেন তাহলে কিছুটা হলেও কৃষকরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে উঠার চেষ্টা করবেন।
এইচকেআর
