মনপুরায় স্বপ্নের নিবাসে বসবাসের প্রহর গুনছে হালিমারা


স্বামী নেই হালিমা বেগমের। মেঘনার কোলঘেঁষে বসবাস। ৩ ছেলেকে নিয়ে সংসারে হাল ধরেছেন নিজেই। হাঁস-মুরগী লালন সহ অন্যের ঘরে কাজ করে মাদ্রাসায় পড়ান এক ছেলেকে। তারপরও জীবনযুদ্ধে পিছপা হননি। তেমনি আরেক সংগ্রামী নারী শিল্পী বেগম। বাবা-মা’র পাশাপাশি পরপারে চলে গেছেন স্বামী।
২ ছেলেকে নিয়ে অন্যের বাড়িতে ঝুঁপড়ি ঘর উঠিয়ে বসবাস করছেন। সংসার চালাচ্ছেন অন্যের ঘরে কাজ করে। শুধু হালিমা ও শিল্পী বেগম না ভ্যানচালক আবদুর রহমান, রিকশা চালক নুর আলম ও স্বামী পরিত্যক্তা মিনারা বেগমের জীবনের গল্প একই রকম। এই রকম জীবন যুদ্ধের হাজারো গল্প ভোলার দূর্গম উপজেলা মনপুরা উপকূলের।
ওই সমস্ত জীবনযুদ্ধে সংগ্রামীরা কোনদিন স্বপ্নেও ভাবেনি নিজের জমিতে আধাপাকা টিন সেড ঘরে থাকবে। তারা এখন শুধু প্রহর গুনছেন স্বপ্নের নিবাসে বসবাসের। আগামী ২৬ এপ্রিল মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় ধাপে নির্মিত ঘরগুলো উদ্বোধন করার পর পরই জমির দলিলসহ ঘরের ছাবি তুলে দেওয়া হবে ভোলার মনপুরার জীবন যুদ্ধে সংগ্রামী হালিমা, শিল্পী বেগম, ভ্যানচালক আবদুর রহমান, রিকসা চালক নুর আলম ও স্বামী পরিত্যক্তা মিনারা বেগম সহ ১১০ পরিবারের হাতে। তারা জানান, প্রতিদিন এক মুঠো ভাতের জন্য যুদ্ধে নামতে হয়। স্বপ্নে ভাবেনি মাথা গোঁজার মতো নিজেদের একটি ঠিকানা হবে। প্রধানমন্ত্রী আমাদের না ভাবা স্বপ্ন পূরণ করেছেন। আল্লাহ প্রধানমন্ত্রীর সকল স্বপ্ন পূরণ করুক। আমরা নামাজ পড়ে দোয়া করি শেখ হাসিনার জন্য।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. ইলিয়াছ মিয়া জানান, তৃতীয় পর্যায়ে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ২১০টি ঘরের মধ্যে ১১০ টি ঘর সম্পূর্ন করা হয়েছে। আগামী ২৬ এপ্রিল প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনের পর পরই হস্তান্তর করা হবে। নির্মিত প্রত্যেক ঘরে বাথরুম, গোসলখানা, বারান্দাসহ ২ কক্ষ রয়েছে। প্রতিটি আধা-পাকা ঘরের নির্মান ব্যয় ২ লক্ষ ৫৯ হাজার টাকা।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. শামীম মিঞা বলেন, তৃতীয় ধাপে আশ্রয়ন প্রকল্পের আওতায় প্রধানমন্ত্রীর উপহারের ২১০টি ঘরের মধ্যে ১১০টি ঘরের সম্পূর্ণ নির্মান কাজ শেষ করে উদ্বোধনের জন্য প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ২৬ এপ্রিল উদ্বোধন শেষে আমরা উপকারভোগীদের জমির কবুলত রেজিঃসহ নির্মিত ঘরগুলোর হস্তান্তর করবো।
এইচকেআর
