ভোলা-লহ্মীপুর রুটে উপচে পড়া যাত্রী, নৌযান সংকটে দুর্ভোগ চরমে


প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে কর্মস্থল ঢাকা ও চট্টগ্রাম থেকে ফিরতে শুরু মানুষ। কিন্তু নৌযান সংকটের ভোলা-লক্ষীপুর রুটে যাত্রীদের চাপ বাড়ছে।
চাহিদার তুলানায় লঞ্চ কম থাকায় অতিরিক্ত বোঝাই হয়ে পারাপার হচ্ছেন যাত্রীরা। এতে একদিকে যেমন ঝুঁকি বাড়ছে অন্যদিকে ভোগান্তি পোহাচ্ছেন যাত্রীরা।
বুধবার (২৭ এপ্রিল) সকাল থেকে দেখা যায় ভোলার ইলিশা ঘাটে ঘরমুখো যাত্রীদের চাপ। চরম ভোগান্তি নিয়ে প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদ করতে বাড়ি ফিরছে মানুষ। কিন্তু ঘাটে পর্যাপ্ত লঞ্চ ও সি-ট্রাক না থাকায় চরম বিপাকে পড়ছেন ঘরে ফেরা মানুষ। কেউ কেউ আবার বাধ্য হয়ে ছোট ছোট ট্রলারে ফিরছেন।
যাত্রী সোনিয়া আক্তার বলেন, ঈদের সময় যাত্রীদের চাপ বাড়লেও সে তুলনায় নৌযান বাড়ানো হয়নি। তাই যাত্রীরা গাদাগাদি করে ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছে। একই অভিযোগ, সাহাবুদ্দিন, নিজাম ও সোহরাবসহ অন্য যাত্রীদের।
অতিরিক্ত যাত্রী পারাপারে বিষয়ে জানতে চাইলে সি-ট্রাক মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, যাত্রীদের চাপ বেশি, আরও নৌযান বাড়ানো দরকার। তবে আমরা ধারণ ক্ষমতার মধ্যেই যাত্রী পারাপারের চেষ্টা করছি।
জানা যায়, ১৫ মার্চ খেকে ১৫ অক্টোবর পর্যন্ত ডেঞ্জার জোন থাকায় এ রুটে সি সার্ভে সনদ ছাড়া সকল ধরনের নৌযান বন্ধ করে বিআইব্লিটিএ কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে দুইটি সি-ট্রাক ও একটি লঞ্চ চলাচল শুরু করে। ঈদ উপলক্ষে যাত্রী চাপ কমাতে আরও চারটি নৌযান দেওয়া হয়েছে, তারপরও চাপ যেন কমছে না।
এ বিষয়ে ভোলা নৌ-বন্দরের সহকারী পরিচালক শহিদুল ইসলাম বলেন, আপাতত ভোলা-লক্ষীপুর রুটে নৌযান বাড়ানো কোনো পদক্ষেপ নেই।
ভোলা নৌ-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহজালাল বলেন, নৌযানগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রী নিয়ে যাতায়াত করতে না পারে সেজন্য অভিযান চলছে। ঈদে যাত্রীদের নিরাপদ নৌযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে আরো লঞ্চ দেয়ার দাবি ভোলাবাসীর।
এসএমএইচ
