ঢাকা শুক্রবার, ১৮ জুলাই ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • সামনের নির্বাচন পিআর পদ্ধতিতে দিতে হবে: রেজাউল করীম ইঁদুরের গর্ত থেকে শেখ হাসিনার সম্পত্তি বের হচ্ছে: বরিশালে রিজভী বাবুগঞ্জে মাটি কাটার অপরাধে ৩ ইট ভাটাকে জরিমানা  বরিশালে ভাড়াবাসায় মিলল স্কুলশিক্ষকের লাশ পাড়ায় পাড়ায় প্রতিবাদের সংস্কৃতি গড়ে তুলন: নাহিদ ইসলাম কলাপাড়ায় লেক থেকে যুবকের মরদেহ উদ্ধার গোপালগঞ্জে সহিংসতাকারীদের গ্রেফতার দাবিতে ঢাকায় এনসিপির বিক্ষোভ পরিকল্পিতভাবে গাজার সব ভবন ধ্বংস করে দিচ্ছে ইসরায়েল: বিবিসি অবশেষে ঢাকায় চালু হচ্ছে জাতিসংঘ মানবাধিকার পরিষদের মিশন জুলাই সনদ তৈরির প্রক্রিয়া হতে হবে স্বচ্ছ ও মানুষের কাছে দৃশ্যমান: প্রধান উপদেষ্টা
  • ঈদের ষষ্ঠ দিনেও লঞ্চঘাটগুলোতে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড়

    ঈদের ষষ্ঠ দিনেও লঞ্চঘাটগুলোতে কর্মস্থলে ফেরা মানুষের ভিড়
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    ঈদের ছুটি শেষ আরও আগে। কিন্তু এখনো ভোলার লালমোহনের লঞ্চঘাটগুলোতে কর্মস্থলে ফেরা ঢাকামুখী মানুষের ভিড় বাড়ছে। আজ রোববার সকাল থেকে উপজেলার মঙ্গলসিকদার লঞ্চঘাট, নাজিরপুর লঞ্চঘাট, লালমোহনের নতুন লঞ্চঘাট, গজারিয়া খালপাড় লঞ্চঘাট ও কচুয়াখালী লঞ্চঘাটগুলোতে রয়েছে যাত্রীদের ভিড়।

    সরেজমিনে ঘাটগুলো ঘুরে ও যাত্রীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বেশির ভাগ যাত্রী বিভিন্ন কারখানায় কাজ করেন ও দিনমজুর। ফারহান, কর্ণফুলী ও তাফসির নামে তিনটি লঞ্চ যাত্রীবোঝাই করে ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে গেছে। পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদের ছুটি কাটিয়ে ফের কর্মস্থলে ফিরছেন এসব যাত্রী। তবে লঞ্চগুলো ধারণক্ষমতার অধিক যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে। আগামী দুই-তিন দিনে যাত্রীর চাপ অনেকটা কমে যাবে বলে জানিয়েছেন লঞ্চের স্টাফরা।

    পশ্চিম চর উমেদ ইউনিয়নের বাসিন্দা মো. সালাউদ্দিন। ঢাকার একটি সেমাইয়ের কারখানায় চাকরি করেন। পরিবারের সঙ্গে ঈদ করে এখন কর্মস্থলে ফিরে যাচ্ছেন। তিনি বলেন, ‘রমজানের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত রাতদিন সেমাইয়ের কারখানায় কাজ করেছি। ঈদে সেমাই একটু বেশি চলে। এ কারণে চাপ নিয়ে কাজ করেছি। তাই মালিক ঈদে ছুটি বেশি দিয়েছে। এখন কারখানা খুলছে। তাই আবার কর্মস্থলে চলে যাচ্ছি।’


    শুধু সালাউদ্দিন নন, তাঁর মতো অনেকেই ফিরছেন। মঙ্গলসিকদার ঘাটের যাত্রী অসীম আকরাম বাবুর সঙ্গে কথা হলে তিনি বলেন, ‘আমি নিউমার্কেটের একটি কাপড়ের দোকানের ম্যানেজার। ঈদের আগের দিনও সারা রাত বেচাকেনা করেছি। তাই ঈদের দিন পরিবারের সঙ্গে দেখা করার জন্য বাড়ি আসছি। এখন দোকানপাট খোলা শুরু করেছে এ কারণে চলে যাচ্ছি।’ বাবুর মতো আরও অনেকের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় তাঁরা সবাই ঢাকার বিভিন্ন মার্কেটের দোকানে (কর্মচারী) চাকরি করেন।

    অপর যাত্রী মো. রফিক বলেন, ‘আমি ঢাকা শহরে রিকশা চালায়। তাই আমার কোনো ছুটি নাই। বাড়িতে কয়দিন বেশি ছিলাম, এখন চলে যাচ্ছি।’

    এ বিষয়ে ভোলা নদীবন্দরের সহকারী পরিচালক মো. শহিদুল ইসলাম বলেন, নৌযানগুলো যাতে অতিরিক্ত যাত্রীবোঝাই করে চলাচল করতে না পারে সে জন্য বিআইডব্লিউটিএ মনিটরিং করছে। তবে যাত্রীদের চাপ কিছুটা কমেছে। ১-২ দিন পর আরও কমে  যাবে। 


    এইচকেআর
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ