শেখ হাসিনা মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগপযোগী করেছেন: এমপি শাওন


ভোলার লালমোহনে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৭ তম শাহাদাত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস ২০২২ উপলক্ষে এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে মাদ্রাসা শিক্ষকদের সাথে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন লালমোহন উপজেলা শাখার আয়োজনে মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) সকালে লালমোহন উপজেলা অডিটোরিয়ামে উপজেলা নির্বাহী অফিসার পল্লব কুমার হাজরার সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা-৩ (লালমোহন-তজুমদ্দিন) আসনের সংসদ সদস্য নূরুন্নবী চৌধুরী শাওন। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ভোলা জেলা শিক্ষা অফিসার মাধব চন্দ্র দাস।
এমপি শাওন তাঁর বক্তব্য বলেন, স্বাধীনতার পর বাংলাদেশে ইসলামের প্রকৃত পরিচর্যাকারী ছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি ইসলামী ফাউন্ডেশন ও মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ড প্রতিষ্ঠাতা করেছেন। বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা মাদ্রাসা শিক্ষায় আধুনিকীকরণসহ যুগান্তকারী পরবির্তনের জন্য কাজ করে যাচ্ছে। যার ফলে ইসলামি শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ও ভবিষ্যত প্রজন্ম বিশিষ্ট আলেম, ওলামা, চিন্তাবিদ হওয়ার পাশাপাশি বাস্তব জীবনমুখী প্রযুক্তিনির্ভর ও দক্ষ মানবসম্পদে পরিণত হতে পারে।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং বতর্মান সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মাদ্রাসা শিক্ষাকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। শেখ হাসিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ হাইস্কুলের সাথে মাদ্রাসার বেতন বৈষম্যসহ শিক্ষাণীতি তৈরী করে সকল ধরনের বৈষম্য দূর করেছে এবং মাদ্রাসা শিক্ষাকে যুগপযোগী করেছেন। বঙ্গবন্ধুর যোগ্য উত্তরসূরি হিসেবে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ইসলাম ও মাদ্রাসা শিক্ষার উন্নয়ন করে মুসলিম জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় কর্মকান্ডকে যথাযোগ্য মর্যাদায় আসীন করেছেন। ইসলাম ধর্মের প্রকৃত জ্ঞান অর্জনের জন্য মুসলিম সম্প্রদায়কে উৎসাহী করার কৃতিত্ব সম্পূর্ণ শেখ হাসিনার।
আলোচনা সভায় অনান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো.রফিকুল ইসলাম, একাডেমিক সুপার ভাইজার মদন মোহন মন্ডল, জেলা শিক্ষা অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা নুরে আলম সিদ্দিকী, বাংলাদেশ জমিয়াতুল মোদার্রেছীন লালমোহন উপজেলার সভাপতি অধ্যক্ষ মাওলানা মোশারফ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু জাফর মাইনুদ্দিনসহ লালমোহন উপজেলার সকল মাদ্রাসার প্রধান, সহ-প্রধান, শিক্ষকমন্ডলী, কর্মকর্তা ও কর্চারীবৃন্দ।
এইচকেআর
