শিক্ষক-সংকটে ধুঁকছে শিক্ষার্থীরা


বিদ্যালয়ে শিক্ষক সংকটের চরম আকার ধারণ করায় কঠিন সময় পার করছে তজুমদ্দিন উপজেলার ফজিলাতুন্নেসা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়। শিক্ষক সংকটে ধুঁকছে অত্র প্রতিষ্ঠানটি। প্রয়োজনীয় শিক্ষক না থাকায় স্কুলে নামমাত্র পাঠদান সেবা দেওয়া হচ্ছে। শিক্ষাখাতে এই বিদ্যালয়ের অনেক সুনাম ও অর্জন থাকলেও শিক্ষক ও জনবল সংকটে বর্তমানে তা তলিয়ে যাওয়ার দ্বারপ্রান্তে।
শিক্ষক সংকট, বিষয়ভিত্তিক শিক্ষক না থাকা, এক বিষয়ের শিক্ষক দিয়ে অন্য বিষয়ে ক্লাস নেওয়া, জনবল সংকটসহ নানা সমস্যায় উপজেলার এই বিদ্যালয় টি।
ফজিলাতুন্নেছা সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী ১১জন শিক্ষক থাকার কথা থাকলেও ৪০০ছাত্রীর পাঠদানে শিক্ষক আছে পাঁচজন। এর বিপরীতে শূন্য পদ রয়েছে ৯টি, প্রধান শিক্ষক একজন, সহকারী প্রধান শিক্ষক একজন, বাংলা বিষয়ে একজন, ভৌত বিজ্ঞান একজন, কৃষি শিক্ষায় একজন, সহ অফিস সহকারী একজন, অফিস সহায়ক একজন, নিরাপত্তা প্রহরী একজন, আয়া একজন।
শ্রেণির শিক্ষার্থী নুসরাত ও মাহিয়া মাহি বলেন, বিজ্ঞান বিভাগের সকল বিষয়ে একই শিক্ষকের উপর নির্ভর করতে হয়। আসলে সংশ্লিষ্ট বিষয়ের শিক্ষক না হলে শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত দিতে পারেন না। তাই প্রাইভেট টিউটরের ওপর নির্ভর ও বাসায় অতিরিক্ত চাপ নিতে হয়।
শারীরিক শিক্ষা বিভাগের শিক্ষক মো. শাহ আফজাল শাহিন বলেন, শিক্ষক সংকটের কারণে বিদ্যালয়ের স্বাভাবিক কার্যক্রম ব্যহত হচ্ছে। এছাড়া চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী না থাকায় বাইরে থেকে লোক ডেকে বিদ্যালয় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হয়। এটা খুবই চ্যালেঞ্জিং আমাদের জন্য।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক মো. বেল্লাল হোসেন বলেন, শিক্ষক সংকটের কারণে বিদ্যালয়ের পড়াশোনা ব্যাহত হচ্ছে। আমি বিষয়টি লিখিতভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। আশা করি আমাদের শিক্ষক সংকট দ্রুত পূরণ হয়ে যাবে।
সাদির হোসেন রাহিম/এইচকেআর
