ঢাকা সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫

Motobad news

গাঁজাসহ পুলিশের হাতকড়া নিয়ে চম্পট ইউপি মেম্বর প্রার্থী 

 গাঁজাসহ পুলিশের হাতকড়া নিয়ে চম্পট ইউপি মেম্বর প্রার্থী 
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

থানা পুলিশের গাঁজা উদ্ধার অভিযানে আটক ইউপি সদস্য প্রার্থী হাতকড়া নিয়ে চম্পট ঘটনায় সহদর ও দূরসম্পর্কের ভাইসহ দু’জন আটক। 

বুধবার দুপুর ১২টায় পটুয়াখালীর দশমিনা থানার শাহ্ কেরামতিয়া মাজার শরীফ সড়কে এ ঘটানা। জানা যায়, উপজেলার গছানী গ্রামের শাহ্ কেরামতিয়া মাজার সংলগ্নে সেকান্দার আলী মৃধার ছেলে ও বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য প্রার্থি মো. নজরুল মোল্লাকে থানা পুলিশ গাঁজা বিক্রির অভিযোগে বুধবার দুপুরে আটক করে। 

এসআই তৌসিফ ও সঙ্গীয় ফোর্স হাতকড়া লাগিয়ে  নজরুল মোল্লাকে থানায় আনতে চাইলে দু’পক্ষে ধস্তাধস্তি হয়। এক পর্যায় অর্ধ-হাতকড়া নিয়ে দৌড়ে পালায় নজরুল মোল্লা। ঘটনার সময় উপস্থিত নজরুল মোল্লার সহদর মোহাম্মদ আমীন ও পাশের বাড়ির হারুন বেপারীর ছেলে সোহাগ বেপারীকে আটক করে নিয়ে আসে। 

থানা সূত্রে জানা গেছে, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসআই তৌসিফ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শাহ্ কেরামতিয়া এলাকায় অভিযান চালায়। অভিযানে মো. নজরুল মোল্লাকে গাঁজাসহ আটক করা হয়। 

এ সময় নজরুল মোল্লার বাবা সেকান্দার আলী মোল্লা, মা আমেনা বেগম ও স্ত্রী ফারজানা আক্তারের সহযোগীতায় নজরুল মোল্লা টানা হেঁচরা করে হাতকড়া ছিড়ে ফেলে। অর্ধহাতকড়া নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায় নজরল মোল্লা। এদিকে, গাঁজা নিয়ে নজরুল মোল্লার বাবা সেকান্দার আলী মোল্লা পালিয়ে যায়। 

ঘটনার পর থেকে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাহারা বসানো হয়েছে। নজরুল মোল্লাকে পালিয়ে যেতে সহযোগীতার অপরাধে সেকান্দার মোল্লার ছেলে মোহাম্মদ আমীন ও হারুন বেপারীর ছেলে সোহাগ বেপারীকে আটক করা হয়েছে।  

সরেজমিনে প্রত্যক্ষতর্শী নজরুল মোল্লার ২য় স্ত্রী ফারজানা আক্তার, হারুন আকনের স্ত্রী জহুরা বেগম ও স্থানীয়রা জানায়, ফার্নিচার ব্যবসায়ী মো. নজরুল মোল্লা নির্বাচনী এলাকা ঘুড়ে বাড়িতে বেলা সাড়ে ১১টায় নিজ বাড়ি ফেরে। 

স্ত্রীর রান্নায় দেরি দেখে অদূরে শাহ্ কেরামতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে চলা ফুটবল খেলা দেখতে বের হয়। ২০ গজ দূরত্বে রাস্তায় উঠলে তিনজন লোক তাকে জাপটে ধরে মারধর শুর করে। রান্না ফেলে ফারজানা স্বামীকে উদ্ধার করতে দৌড়ে যায়। 

এ সময় হলুদ গেঞ্জি পরা লোকটা লাল পোটলা নজরুলের প্যান্টের পকেটে ঢোকানোর চেষ্টা করে। ধস্তাধস্তির এক পর্যায় লাল পোটলাটি শাহ্ কেরামতিয়া মাজারের পুকুরে ফেলে দেয়া হয়। এ ঘটনায় শতাধিক মানুষ জড়ো হয়ে। 

ফুটবল খেলার দর্শক সোহাগ বেপারীসহ কয়েকজন লাল পোটলা পকেটে ঢোকানোর প্রতিবাদ জানায়। চলমান ধস্তাধস্তির এক পর্যায় হাতকড়া ছিড়ে অর্ধহাতকড়া নিয়ে নজরুল মোল্লা পালিয়ে যায়। ঘটনার কথা শুনে গছানী বাজারের হাজি মার্কেটে কাপড়ের ব্যবসায়ী নজরুল মোল্লার সহদর মোহাম্মদ আমীন দোকানঘর মালিক হাজি মো. জাকির হোসেনকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে। 

থানা পুলিশ ফিরে আসার সময় মোহাম্মদ আমীন ও সোহাগ বেপারীকে আটক করে নিয়ে আসে। থানায় আসার পথে পুলিশ সদস্যরা মোহাম্মদ আমীনকে মারধর করে রক্তাক্ত আহত করেছে।  উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স’র জররী বিভাগ খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দুপুর সাড়ে ১২টায় থানা পুলিশ হেফাজতে মোহাম্মদ আমীন নামের একজন আহতকে  চিকিৎসা সেবা দিয়ে ছেড়ে দেয়া হয়েছে। 

এ বিষয়ে দশমিনা থানার ওসি মো. জসীম বলেন, এসআই তৌসিফ গাঁজা উদ্ধারে অভিযান চালায়। আটক হাতকড়া লাগানো নজরুল মোল্লা হাতকড়া ছিড়ে গাঁজা নিয়ে পালিয়ে গেছে। 


এইচকেআর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন