ঢাকা রবিবার, ২৪ অগাস্ট ২০২৫

Motobad news

নির্মাণের দুই মাসের মাথায় উঠে যাচ্ছে সড়কের পাথর

নির্মাণের দুই মাসের মাথায় উঠে যাচ্ছে সড়কের পাথর
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার শুক্তাগড় ইউনিয়নে এলজিইডির মোল্লারহাট-শুক্তাগড়-বলারজোর সড়কের তিন কোটি ৭৮ লাখ টাকার সংষ্কার ও সেতুর এর্পোচ সড়ক নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ পাওয়া গেছে। সড়ক নির্মাণের দুই মাসের মাথায় সড়ক ভেঙে খালে পড়ছে। বিভিন্ন স্থানে উঠে যাচ্ছে পাথর। 

গতকাল সোমবার সকালে সরেজমিনে গেলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, দুই মাস আগে সড়কটির নির্মাণ কাজ শুরু করে ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। এক কোটি দুই লাখ টাকারও বেশি বরাদ্দের দুই কিলোমিটার সংষ্কার ও হাজিবাড়ি এলাকার দুই কোটি ৭৬ লাখ টাকায় নির্মাণ করা সেতুর দুপাশের এর্পোচ সড়ক নির্মাণে অনিয়ম ও দুর্নীতি হয়েছে। 

স্থানীয় বাসিন্দা নূর হোসেন, ইয়াসির আরাফাত, টিপু, রাজিব হোসেনসহ একাধিক ব্যক্তি জানান, কিছু দিন আগে সংস্কার করা ওই সড়কের বিভিন্ন স্থান থেকে পাথর উঠে গেছে। বেশ কয়েকটি স্থানের সড়ক ভেঙে খালে পড়ছে।

এ ছাড়া মোল্লারহাট সংলগ্ন এলাকার সড়ক দেবে বড় গর্তের সৃষ্ট হয়েছে। ফলে যানবাহন চলাচলেও বিঘœ সৃষ্টি হচ্ছে। এতে যেকোন সময় ঘটতে পারে দুর্ঘটনা। এছাড়া উত্তর শুক্তাগড় গ্রামের হাজিবাড়ি এলাকার সেতুর তিন পাশের সড়কের পাথর উঠে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে গেছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, উপজেলা এলজিইডির কর্মকর্তা-কর্মচারিদের আর্থিকভাবে ম্যানেজ করে নিম্নমানের সামগ্রী ও সঠিক পরিমান পিচ না দেওয়ায় কাজ শেষ হতে না হতেই পাথর উঠে গিয়ে চলাচলে চরম ঝুঁকিপূর্ণ হয়েছে। 

উপজেলা এলজিইডি অফিসের দেয়া তথ্য মতে, এ সড়কটি সাড়ে ১১ কিলোমিটার। যার মধ্যে দুই কিলোমিটার সংকারের জন্য দুই কোটি দুই লাখ টাকা বরাদ্দ পান রাজাপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি  চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মজিবর মৃধা। হাজিবাড়ি এলাকার একটি সেতু নির্মাণের জন্য দুই কোটি ৭৬ লাখ টাকা বরাদ্দ পান মেসার্স বাদল কনস্ট্রাকশন। এছাড়া ওই সড়কে আরও দুইটি সেতুর কাজ চলামান রয়েছে, যার জন্য দুই কোটিরও বেশি অর্থ বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। 

বাকি সাড়ে ৯ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারের জন্যও আবেদন করা হয়েছে। উপসহকারী প্রকৌশলী জিয়াউর রহমান এ কাজের তদারকির দায়িত্বে ছিলেন। এ বিষয় সড়ক সংকার কাজের ঠিকাদার রাজাপুর সদর ইউনিয়নের সাবেক ইউপি  চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন মজিবর মৃধা জানান, সড়কের ওপর সংষ্কার কাজ করা হয়েছে। দেবে বা  ভেঙে গেলে কিছু করার নেই। তবে সড়কের পাথর উঠে থাকলে তা ঠিক করা হবে। 

জানতে চাইলে সেতু ও সংযোগ সড়ক নির্মাণ কাজের ঠিকাদার বাদল হোসেন বলেন, ওই সময় সঠিক ভাবেই কাজ করা হয়েছিলো, হয়তো গরুর গোবর বা অন্য কোন কারনে উঠে যেতে পারে, বিষয়টি শুনেছি ঠিক করে দেওয়া হবে। এ বিষয় উপজেলা প্রকৌশলী অভিজিৎ মজুমদার জানান, সড়কের গর্ত ভরাট এবং উঠে যাওয়া পাথর সংষ্কার করার জন্য ঠিকাদারদের বলা হয়েছে। ঠিকাদাররা সঠিকভাবে কাজ না করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
 


আরজেএন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন