আমতলীতে একসপ্তাহে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ১২, আহত ৫০


বরগুনার আমতলীতে গত এক সপ্তাহে সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে সব শেষ ছেলের মরদেহ আনতে গিয়ে মোটরসাইকেল ও অ্যাম্বুলেন্স সংঘর্ষে লাশ হয়ে ফিরলেন মা পুষ্প বেগম (৬৫)। এ দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেলচালকও নিহত হয়েছেন।
রোববার সকাল সাতটায় আমতলী-পটুয়াখালী মহাসড়কের ডাক্তারবাড়ি নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ মরদেহ সুরতহাল করে থানায় এনেছে। নিহত পুষ্প বেগমের বাড়ি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার ধানখালী ইউনিয়নেরনিশানবাড়িয়া গণ্ডামারি গ্রামে।
অন্যদিকে নিহত মোটরসাইকেলচালকের নাম রুবেল সিকদার (৩২)। উপজেলার আঠারোগাছিয়া ইউনিয়নের চাউলা গ্রামের আনসার সিকদারের ছেলে তিনি।
এর আগে গত শুক্রবার পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় আঞ্চলিক মহাসড়কের উপজেলার মহিষকাটা বাজার সংলগ্ন মোটরসাইকেল ও ঢাকা থেকে আসা হিমাচল পরিবহনের সাথে মুখোমুখি সংঘর্ষে ১ ব্যবসায়ী নিহত হন। এসময় আহত হয়েছেন আরো ৪ জন।
একই দিনে আমতলী ঘটখালীতে বাস ও ট্রাক সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছে। এছাড়া ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে যানবাহনের দুর্ঘটনায় আরো ২৭ জন আহত হয়েছে।
শনিবার (২২জুন) জুন বৌভাতে যাওয়ার পথে হলদিয়াহাট ব্রিজ ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পরে নারী ও শিশুসহ নিহত ৯ জন আহত হন ৮ জন।
এবিষয় আমতলী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু সাঈদ খোকন বলেন, নিহতের ঘটনা চালকদের অসচেতনতা ও আঞ্চলিক মহাসড়কের সড়ক অব্যবস্থাপনা এর প্রধান কারন। আমতলী আঞ্চলিক মহাসড়কে চার লেন রাস্তা জরুরি প্রয়োজন নতুবা এ দুর্ঘটনা ঠেকানো অসম্ভব।
আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ শাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি। আইনি প্রক্রিয়া যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছি।
আমতলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশরাফুল আলম বলেন, চালকদের চোখে পরে এমন রোড সাইন, রোড পোস্ট, মার্কিন করা জরুরি প্রয়োজন। এছাড়া হাইওয়ে পুলিশ থাকলে দুর্ঘটনা অনেকটা কমে যাবে।
এলাকাবাসী অবিলম্বে পটুয়াখালী-কুয়াকাটা মহাসড়ক চারলেনও হাইওয়ে পুলিশ দেয়ার দাবী জানিয়েছেন। নতুবা এ মৃত্যুর মিছিল থামবেনা। এ মিছিল আরো দীর্ঘ হবে।
এইচকেআর
