মুক্তিযোদ্ধার বিরুদ্ধে জমি দখলের অভিযোগ


বরগুনার পাথরঘাটা থানার নিকট থেকে এক বছরের ইজারা নেয়া ১ একর ৫৬ শতাংশ জমির প্রায় ৩০ শতাংশ জমি শ্রেণি পরিবর্তন করে দখলে নিয়ে যাওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাথরঘাটা উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এএফএম হাবিবুর রহমান মৃধা ও তার ভাইয়ের ছেলে আলমগীর মৃধার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ ওঠেছে।
সাইফুল ইসলাম নাচনাপাড়া ইউনিয়নের মানিকখালী গ্রামের শামসুল হকের ছেলে ও ওই ১ একর ৫৬ শতাংশ জমি লিজ নেওয়া আব্দুল মালেক হাওলাদারের ভাইয়ের ছেলে। সংবাদ সম্মেলনে সাইফুল ইসলাম বলেন, পাথরঘাটা থানা থেকে এক বছরের জন্য ১ একর ৫৬ শতাংশ জমি ইজারা নেন নাচনাপাড়া ইউনিয়নের মানিকখালী গ্রামের আব্দুল মালেক হাওলাদার। ২০ হাজার ৫ শত টাকায় ১ একর ৫৬ শতাংশ নাল জমি ইজারা নিলেও ওই জমিতে গিয়ে দেখাযায় সে, প্রায় ৩০ শতাংশ জমি শ্রেণি পরিবর্তন করে মৎস্য ঘের করে দখলে নিয়েছেন মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান। তিনি প্রভাব বিস্তার করে ওই জমির দখল ছাড়ছেন না। তাছাড়া এ জমি আমাদের বাপ-দাদার পৈতৃক জমি। ওই জমি নিয়ে আদালতে মামলা থাকায় পাথরঘাটা নির্বাহী আদালতের মাধ্যমে পাথরঘাটা থানা এক বছরের জন্য আমাদের ইজারা (লিজ) প্রদান করেন।
লিজ অনুযায়ী ১ একর ৫৬ শতাংশ জমি চাষাবাদ করতে গিয়ে প্রতিপক্ষরা ৩০ শতাংশ জমি দখল ছাড়ছেন না। তবে অপর ১ একর ২৬ শতাংশ জমি আমরা চাষাবাদে আছি। তিনি আরও বলেন, প্রতিপক্ষ বীর মুক্তিযোদ্ধা এএফএম হাবিবুর রহমান মৃধা ও তার ভাইয়ের ছেলে আলমগীর মৃধা স্থানীয়ভাবে প্রভাব খাটিয়ে ওই জমি দখলে নিতে হুমকি ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন। এছাড়াও মুক্তিযোদ্ধা এএফএম হাবিবুর রহমান মৃধার ভাই জামাল মৃধার জামাতা সোহরাব হোসেন গত ২০১৭ সালে নিজের কাঠের ঘর ভাঙচুর করে আমাদের বিরুদ্ধে একটি লুটপাটের মামলা করেছেন এভাবে মিথ্যা মামলা ও প্রভাব খাটিয়ে আমাদের কোণঠাসা করে ওই জমি দখল রাখার তারা চেষ্টা করছেন।
অভিযোগ প্রসঙ্গে পাথরঘাটা উপজেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা এএফএম হাবিবুর রহমান মৃধা বলেন, ওই জমি আমাদের রেকর্ডকৃত সম্পত্তি। তবে ওই অভিযোগের জায়গায় আমার মৎস্য ঘের দীর্ঘদিন আগের। সেই হিসেবে আমি ভোগ দখলে আছি। তবে তাদের থানা থেকে যে লিজ নেয়া ওই জমির যে টাকা হয় সেটা ওদের দিয়ে দেওয়া হবে।
এইচকেআর
