আমতলীতে কোরবানীর পশু নিয়ে দুশ্চিন্তায় খামারী ও ব্যবসায়ীরা


পবিত্র ঈদুল আজহার বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের মধ্যে ঈদকে সামনে রেখে ভালো লাভের আশায় খামারী ও ব্যবসায়ীরা গবাদি পশু পরিচর্জা করছেন। কিন্তু সরকার মহামারী করোনার বিস্তার রোধে দিয়েছে কঠোর লকডাউন । এই লক ডাউনে কোরবানীর পশু নিয়ে মহা দুশ্চিন্তায় খামারী গরু ব্যবসায়ীরা। হতাশ খামার মালিক ও ব্যবসায়ীরা।
আমতলী গরুর বাজার খাজনা আদায়কারীরা অলস সময় কাটাচ্ছেন। দাম কম থাকায় হতাশ হয়ে পড়েছেন খামার মালিক ও ব্যবসায়ীরা। এতে চরম লোকসানের মুখে খামারী, ব্যবসায়ী ও হাট ইজারাদার। কুকুয়ার গরু ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন বলেন, গরুর বাজার ক্রেতাশূন্য। গত বছরের তুলনায় এ বছর বাজারে গর”র দাম অনেক কম।
ক্রেতা মো.জাহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারে গর”র দাম গত বছরের তুলনায় অনেক কম।মাঝারি সাইজের একটি গরু ৩৫ হাজার টাকা বলেছি। ব্যবসায়ী মো. মিজান মিয়া বলেন, ১০০ কেজি ওজনের একটি গরু ৩৫ হাজার টাকায় বিক্রি হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে অনেক কম। এ বছর ব্যবসায়ীদের অনেক লোকসান গুনতে হবে। আমতলী গাজীপুর বন্দরের গরু ব্যবসায়ী মো. নওয়াব হাওলাদার বলেন, কোরবানি উপলক্ষে এখন পর্যন্ত তিন গরু বিক্রি করেছি। তাতে কোনো লাভ হয়নি। তিনি আরও বলেন, করোনার কারণে বাজারে প্রায় ক্রেতাশূন্য। গত বছরের তুলনায় এ বছর গরু প্রতি ১৫ থেকে ১৬ হাজার টাকা কম দামে বিক্রি হচ্ছে।
আমতলী গবাদি পশুর হাট পরিচালনাকারী মো. আলাউদ্দিন মৃধা বলেন, বুধবার বেলা ৩টা পর্যন্ত কোরবানির ৪/৫টি গরু বিক্রি হয়েছে। কিন্তু গরুতে বাজার সয়লাব। এতে আমাদের অনেক লোকসান হবে। আমতলী গরুর হাটের ইজারাদার ও ইউপি চেয়ারম্যান মো. মোতাহার উদ্দিন মৃধা বলেন, এলাকার পশুতে কোরবানির চাহিদা পূরণ হয়ে অনেক পশু অবিক্রীত থেকে যাবে। করোনার কারণে এ বছর পশুর দাম গত বছরের তুলনায় অনেক কম।
হাটের দিন ক্রেতা ও বিক্রেতাদের মধ্যে মাস্ক প্রদান করা হয়েছে স্বাস্থ্য বিধি মেনে হাটে ঢুকতে দেওয়া হয়েছে। আমতলী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. শাহ আলম হাওলাদার বলেন, সামাজিক ও স্বাস্থ্যবিধি মেনেই কোরবানি উপলক্ষে পশুর বাজারে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হয়েছে। যাতে মানুষ নির্বিঘ্নে পশু ক্রয়-বিক্রয় করে গন্তব্যে পৌঁছতে কোনো সমস্যা না হয়। তিনি আরও বলেন, জাল টাকা শনাক্তকরন মেশিনসহ সাদা পোশাকে পুলিশ বাজারে কাজ করছে।
এইচকেআর
