আমতলীতে লকডাউনে বাজারে বেড়েছে মাছ-সবজির দাম


মহামারী করোনা সংক্রমন রোধে চলমান কঠোর লকডাউনের কারনে মানুষ গৃহবন্দি হয়ে কর্মহীন হয়ে পড়েছে। বিশেষ করে মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলোর আয় রোজগার বন্ধ হয়ে পড়েছে চরম বিপাকে।
এ সুযোগে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকা সত্বেও মাছ ও সবজি বাজারের অসাধূ ব্যবসায়ীরা বেশী লাভের আশায় মাছ ও সবজির দাম বাড়িয়ে দিয়েছে। যা কিনতে হিমসিম খাচ্ছেন বেকার হয়ে পড়া মধ্যবিত্ত ও নিম্ন আয়ের খেটে খাওয়া মানুষগুলো।
এ কারনে বাজারে মাছের সরবরাহ কম থাকায় মাছের দাম গত সপ্তাহের চেয়ে কেজি প্রতি ৫০ থেকে ৭০ টাকা বেড়েছে। ক্রেতা শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, গত সপ্তাহের চেয়ে বিভিন্ন প্রজাতির দেশী মাছ কেজিতে ৫০ থেকে ৭০ টাকা বেশী চাচ্ছে। গত সপ্তাহে বড় সাইজের এক কেজি রুই মাছ ৩০০ টাকায় কিনেছি তা আজ ৩৫০ টাকা কেজি দরে কিনলাম।
তিনি অভিযোগ করেন, বাজার মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় বিক্রেতারা ক্রেতাদের কাছ থেকে ইচ্ছেমতো দাম নিচ্ছেন। অপরদিকে লকডাউনের কারনে বাজারে উত্তর অঞ্চল থেকে সবজি না আসলেও স্থাণীয়ভাবে পর্যাপ্ত সবজির সরবরাহ থাকা স্বত্তেও বিভিন্ন কাচা সবজি চরা মূলে ক্রেতারা কিনতে বাধ্য হচ্ছেন।
এরমধ্যে বেগুন ৬০ টাকা, করোলা ৮০ টাকা, বরবটি ৫০, জিঙ্গে ৬০, পটল ৪০, ভেন্ডি ৪০, কাঁচাকলা হালি ৪০, মিষ্টি কুমড়া ৩৫ টাকা, ২টি লাউর ডগা ৪০ টাকা ও প্রতিপিচ লাউ ৪০ থেকে ৭০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহের চেয়ে ১০ থেকে ২৫ টাকা বেশী দামে বিক্রি করছে বিক্রেতারা। সবজি বিক্রেতা জাকির হোসেন বলেন, লকডাউনের মধ্যে এখনো তরকারির উৎপাদন স্বাভাবিক রয়েছে। বাজারে সরবরাহ পর্যাপ্ত। হঠাৎ করে বাজারে মাছ মাংশের দাম বেড়ে যাওয়ায় সবজির উপড় চাপ কিছুটা বেড়েছে।
কিন্তু কৃষকদের কাছ থেকে আমাদের বেশি দামে সবজি কিনতে হচ্ছে। এ কারনে বাজারে সবজির দাম একটু বেশী। ক্রেতা গৃহিনী আয়েশা সিদ্দিকা শিমু বলেন, গত সপ্তাহের তুলনায় বাজারে প্রতিটি সবজি ১০ থেকে ২৫ টাকা বেশী দরে কেজিতে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এভাবে চলতে থাকলে আমাদের না খেয়ে থাকতে হবে। উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ নাজমুল ইসলাম বলেন, এ বিষয়ে ডিসি স্যারের সাথে পরামর্শ করে বাজার মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা নেয়া হবে। করোনা কিংবা লকডাউনের অযুহাতে অহেতুক কেহ দাম বাড়ালে তাদের বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করে স্বাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে।
এইচকেআর
