বরিশালে পশুর হাটে ক্রেতা সংকট

রাত পোহালেই পবিত্র ঈদ উল আযহা। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যে ত্যাগের মহিমায় পশু কুরবানির মধ্যে দিয়ে দিনটি উদযাপন করবেন ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা।
তবে ঈদের একদিন বাকি থাকতেও এখনো জমে উঠেনি বরিশালের কুরবানির পশুর হাটগুলো। ক্রেতা সংকটের ফলে অধিকাংশ গরু এবং ছাগল রয়ে গেছে অবিক্রিত।
পশু বিক্রেতারা বলছেন, গত বছর কুরবানিতে যে সংখ্যক গরু এবং ছাগল বিক্রি হয়েছে তার অর্ধেকও বিক্রি হয়নি এবারের কুরবানির হাটে। তাই লোকসানের আশঙ্কা করছেন তারা।
বরিশাল নগরীর কাউনিয়া টেক্সটাইল সংলগ্ন পশুর হাটে দেখা গেছে, যশোর এবং সাতক্ষীরাসহ বিভিন্ন অঞ্চল থেকে এক একজন বেপারী ১০ থেকে ১২টি পর্যন্ত গরু নিয়ে আসছেন এ হাটে। গত পাঁচ দিনে মাত্র ৪ থেকে ৫টি গরু বিক্রি করতে পেরেছেন তারা। বাকি গরু ফিরিয়ে নিয়ে যেতে যে খরচ লাগবে সেই অর্থের যোগানও হয়নি তাদের।
কাউনিয়া টেক্সটাইল হাটের গরু বিক্রেতা সাতক্ষীরার আলমগীর মিয়া বলেন, গত বছর এই হাটে ১০ গরু নিয়ে এসেছিলাম। ১০টি গরু বিক্রির পরে আরও ছয়টি গরু এনে তাও ঈদের আগের দিন বিক্রি করে দিয়েছি। কিন্তু করোনা মহামারিতে অর্থনৈতিক সংকটের কারণে অনেকেই এবারের কুরবানি দিচ্ছেন না। এ কারণে পশুর বেচা বিক্রিও তুলনামূলকভাবে কমে গেছে।
হাটে আসা ক্রেতারা বলছেন, এবারের পশুর হাটে গরু- ছাগলের সংখ্যা অনেক কম। এ কারণে গরু-ছাগলের দাম হাঁকানো হচ্ছে দ্বিগুণের বেশি। তাই ইচ্ছা সত্ত্বেও মূল্য সাধ্যের বাইরে থাকায় কুরবানি দেয়া সম্ভব হচ্ছেনা অনেকের।
এমবি