আগৈলঝাড়ায় অভিযোগ প্রত্যাহারে পুলিশ সদস্যের হুমকি

হামলার ঘটনায় থানায় দায়ের করা লিখিত অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য এক পুলিশ সদস্যর বিরুদ্ধে হুমকি অব্যাহত রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলার পশ্চিম বাগধা গ্রামের।
মঙ্গলবার দুপুরে ওই গ্রামের খ্রীষ্ট সম্প্রদায়ের মৃত রমল হালদারের ছেলে প্রদীপ হালদারের লিখিত অভিযোগে জানা গেছে, একই বাড়ির যৌথ শরিকানা একটি পুকুর লিজ নিয়ে তিনি মাছ চাষ করে আসছেন। পুকুরের অংশীদার মৃত সুধীর হালদারের ভাগের টাকা তার বিধবা স্ত্রী স্বর্ণলতা হালদারকে বুঝিয়ে দেয়া হয়। এতে ক্ষিপ্ত হন স্বর্ণলতার মেয়ে করুনা হালদারের স্বামী ঝালকাঠি পুলিশ লাইন্সে নায়েক পদে কর্মরত খোকন অধিকারী।
অভিযোগে আরও জানা গেছে, গত ২২ জুলাই বিকেলে পুলিশ সদস্য খোকন অধিকারী তাঁর স্ত্রীর অংশের টাকার জন্য প্রদীপ হালদারকে চাপ প্রয়োগ করেন। এসময় উভয়ের মধ্যে বাগবিতণ্ডার একপর্যায়ে পুলিশ সদস্য খোকন অধিকারী অতর্কিতভাবে প্রদীপ হালদারের ওপর হামলা চালান। এসময় তাকে বাঁচাতে স্ত্রী পারভীন হালদার ও তার মা জোসনা হালদার এগিয়ে আসলে খোকন অধিকারী তাদেরকেও মারধর করে আহত করেন।
স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। হামলার ঘটনায় গত ২৩ জুলাই আগৈলঝাড়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর পুলিশ সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেলেও আইনগত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলে প্রদীপ হালদার অভিযোগ করেন।
প্রদীপ হালদার আরও অভিযোগ করেন, থানায় লিখিত অভিযোগ দায়েরের পর হামলাকারী পুলিশ সদস্য খোকন অধিকারী অভিযোগ প্রত্যাহারের জন্য তাদের বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ ষড়যন্ত্রমূলক মামলায় জড়ানোর হুমকি প্রদর্শন করে আসছেন।
অভিযোগ অস্বীকার করে ঝালকাঠি পুলিশ লাইন্সে নায়েক পদে কর্মরত খোকন অধিকারী বলেন, হামলার দিন আমি আমার কর্মস্থলে উপস্থিত ছিলাম। ষড়যন্ত্র করে আমার বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে।
এব্যাপারে উপপরিদর্শক মিলটন মন্ডল সরেজমিনে তদন্তে গিয়ে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, খোকন অধিকারী হামলার দিন ওই বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। অভিযুক্ত খোকন অধিকারীর সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বাদী প্রদীপ হালদারের সাথে দ্রুত বিষয়টি মীমাংসা করবেন বলেও জানান।
এমবি