বিদ্যুৎ অফিসের খামখেয়ালিপনায় নষ্ট হচ্ছে গ্রাহকের পণ্য

দেশে রেকর্ড পরিমাণ বিদ্যুৎ উৎপাদন হলেও লোডশেডিং যেন পিছু ছাড়ছে না বরিশাল নগরবাসীর। দিনে-রাতে ৫ থেকে ৬ বার লোডশেডিং এর কবলে পড়তে হচ্ছে তাদের। বিশেষ করে গত এক সপ্তাহ যাবত এমন ভোগান্তি পোহাচ্ছেন মহানগরীর ২৫ নং ওয়ার্ড রুপাতলীর উকিল বাড়ি সড়কের বাসিন্দারা। এ বিষয়ে অভিযোগ দিলেও তাতে কর্ণপাত করছে না বিদ্যুৎ বিভাগ। তাদের এই খামখেয়ালিপনার বিষয়ে দ্রত কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণে সংশ্লিষ্টদের প্রতি দাবি জানিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
অপরদিকে করোনাকালীন অনলাইনে ক্লাস করতে হচ্ছে যেসব শিক্ষার্থীর, তাদের ভোগান্তি চরম আকার ধারণ করেছে। ভুক্তভোগী আনোয়ার হোসেন রয়েল বলেন, ২০ বছর আগের নিম্নমানের জরাজির্ণ বিদ্যুতের তার এখনো ঝুলছে গাছের সাথে। যা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ । ঝড় বৃষ্টির সময় পরিবার নিয়ে আতংকের ভিতর থাকতে হয়।
এদিকে ভুক্তভোগীদের অভিযোগের ভিত্তিতে সরেজমিনে গেলে মিলে তার সত্যতা। জানা গেছে, বরিশাল ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র-১ এর কালিজিরা ফিডারের আওতায় রুপাতলী উকিল বাড়ী সড়কের প্রায় ৪০০ স্থায়ী- অস্থায়ী বসবাসকারীরা বিদ্যুৎ ব্যবহার করছেন। গত এক সপ্তাহ ধরে ঐ বিদ্যুৎ অফিসের কালিজিরা ফিডারে ঘন ঘন লোড শেডিংয়ে ব্যাপক ক্ষতিসাধিত হয়েছে বসবাসকারী মানুষগুলোর।
এমতাবস্থায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জোরালো পদক্ষেপ কামনা করছেন ভুক্তভোগীরা। এদিকে ঘন ঘন লোড শেডিংয়ের বিষয়টি স্বিকার করে বরিশাল ওয়েষ্ট জোন পাওয়ার ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিমিটেড বিক্রয় ও বিতরণ কেন্দ্র-১ এর উপ-সহকারি প্রকৌশলী মো. রায়হান মুঠোফোনে বলেন কালিজিরা ফিডারটি শহরের আওতায় হলেও এটি মূলত গ্রামের দিকে বেশি থাকায় বিদ্যুতের সমস্যা হয়ে থাকে । অনেক সময় ঝড় বৃষ্টি হলে গাছের ডাল পড়ে বিদ্যুৎ লাইনের উপর।
এ কারণে গ্রাহকের মিটার অনেক সময় পুড়ে যায়। তিনি বলেন, গত ঈদের আগের দিন এমন সমস্যা হয়েছে। এতে অনেক গ্রাহকের ক্ষতি সাধিত হয়েছে। তবে সেফটি ডিভাইস থাকলে দৈনিক ব্যবহার্য ইলেকট্রনিক পণ্যর ক্ষতি কম হত উল্লেখ করেন বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার সাথে আলোচনা করা হবে বলে জানান তিনি।
এইচকেআর