শ্রমিকদের স্বার্থে বরিশাল থেকে বাস চললেও ছাড়েনি লঞ্চ

গার্মেন্টস্ সহ সকল মিল-কারখানা শ্রমিকদের ঢাকায় ফেরার সুবিধার্থে রোববার দুপুর পর্যন্ত লঞ্চ এবং বাস চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। ঘোষণার পর পরই শনিবার রাত থেকে বরিশাল-ঢাকা সড়ক পথে শুরু হয়েছে বাস চলাচল।
তবে অনুমতি থাকা সত্ত্বেও বরিশাল থেকে চলাচল করবে না যাত্রীবাহী বিলাসবহুল লঞ্চগুলো। যাত্রী না থাকার কারণে বরিশাল নদী বন্দরে বার্দিং করা লঞ্চগুলো ঢাকায় যাত্রা করবে না বলে জানিয়েছেন লঞ্চ শ্রমিকরা।
যাত্রীবাহী নৌ-পরিবহন সংস্কার কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি ও বরিশাল সদর উপজেলা চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান রিন্টু জানান, ‘এই মুহূর্তে লঞ্চ-বাস ছেড়ে দেয়ার বিষয়ে সরকার যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটাকে আমরা সমর্থন করি।
তবে যে সিদ্ধান্ত এবং ঘোষণা হয়েছে সেটা সময় অনুযায়ী হয়নি। রাত ৮টার দিকে হুট করে ঘোষণা দিলেই লঞ্চ চলাচল সম্ভব না। কেননা আমাদেরও প্রস্তুতির বিষয় রয়েছে। অধিকাংশ শ্রমিক-মাস্টার দূরে রয়েছেন।
তাছাড়া বাস স্ট্যান্ডে যাত্রীদের যেমন ভিড় রয়েছে তার একাংশও নেই নদী বন্দরে। নদীবন্দর পুরোটাই ফাঁকা। ঘোষণাটা বিকাল ৩-৪ টার মধ্যে হলেও আমরা প্রয়োজনে মাইকিং করে যাত্রী আনার চেষ্টা করতাম। যেহেতু সেটা হয়নি তাই অল্প সময়ের জন্য মালিকরা লঞ্চ চালাতে রাজি হননি।
অপরদিকে, ঘোষণার পর সন্ধ্যা থেকেই নগরীর নথুল্লাবাদ কেন্দ্রীয় বাসস্ট্যান্ড থেকে বাস চলাচল শুরু হয়েছে। নথুল্লাবাদ থেকে যাত্রী নিয়ে মাওয়া নামিয়ে দিয়ে আসছে বাসগুলো। তবে সেখানেও অধিকাংশ বাস বন্ধ রয়েছে বলে জানিয়েছেন বরিশাল জেলা বাস মালিক গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক গোলাম মাসরেক বাবলু।
তিনি বলেন, ‘সরকারের ঘোষণার পর বরিশাল থেকে কিছু লোকাল বাস মাওয়া পর্যন্ত গিয়ে যাত্রী নামিয়ে দিয়ে এসেছে। তবে অধিকাংশ বাস বন্ধ। কারণ বাস শ্রমিকরা সবাই যে যার বাড়িতে অবস্থান করছে। আবার মাওয়া রুটের গাড়িগুলোও বন্ধ রয়েছে।
তিনি বলেন, রোববার বেলা ১২টা পর্যন্ত বাস চলাচলের অনুমতি রয়েছে। তাই রোববার সকাল থেকে মাওয়া রুটের এবং বরিশালের আঞ্চলিক রুটের কিছু বাস চলাচল করতে পারে। এতে অন্তত যাত্রীদের ভোগান্তি কিছুটা হলেও দূর হবে।
এই বাস মালিক নেতা বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকেই নথুল্লাবাদ থেকে মাওয়া পর্যন্ত মিল-কারখানার শ্রমিকদের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। চাকরি বাঁচাতে মানুষ পায়ে হেঁটেও ঢাকায় যাত্রা করেছেন। তাই মিল-কারখানা খোলার ঘোষণার সাথে একই সময় বাস-লঞ্চ চলাচলের অনুমতির ঘোষণাটাও দেয়া উচিত ছিল। এতে অন্তত শ্রমিকদের এই দুর্ভোগে পড়তে হতো না।
বরিশাল নদী বন্দর কর্মকর্তা ও টাফিক ব্যবস্থাপনা বিভাগের উপ-পরিচালক মুহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘বরিশাল নদী বন্দরে ৭টি লঞ্চ বার্দিং করা রয়েছে। তবে যাত্রী না থাকায় লঞ্চ চালাবেন না বলে জানিয়েছেন মালিকরা। তাদের অনুরোধ করা হয়েছিলো লঞ্চ চলাচলের জন্য। ঘাটে যাত্রী চাপ বাড়লে লঞ্চ ছাড়বেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তারা।
এমবি