করোনার মধ্যে নতুন আতঙ্ক ডেঙ্গু

বরিশাল বিভাগে করোনার ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণের মধ্যেই শনাক্ত হয়েছে ডেঙ্গু রোগী। এ নিয়ে নতুন আতঙ্ক তৈরি হয়েছে জনমনে। তবে ডেঙ্গু প্রতিরোধে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়েছে সরকারি হাসপাতালগুলো।
গত মঙ্গলবার (২৭ জুলাই) পিরোজপুর জেলায় প্রথম ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয় বলে জানান বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালক ডা. বাসুদেব কুমার দাস। এ বছরে এখন পর্যন্ত এক হাজার ৭২৬ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছেন শুধু জুলাই মাসে। তাদের ৯৯ শতাংশই ঢাকার। তিনি জানান, এবছর পিরোজপুরে ২৪ বছরের এক যুবকের সর্বপ্রথম ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। কোন হাসপাতালে ভর্তি না হয়ে বাড়িতেই চিকিৎসা নিচ্ছেন ওই ডেঙ্গু আক্রন্ত রোগী।
এছাড়া গতকাল শনিবার বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আরো ৩ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত হয়েছে বলে জানিয়েছেন হাসপাতালটির পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম । তিনি জানান, গত বৃহস্পতিবার ডেঙ্গু সাসপেক্টেডে (সন্দেহ) তিন জন রোগী মেডিসিন বিভাগে ভর্তি হন। শনিবার পরীক্ষার ফলাফলে তাদের ডেঙ্গু শনাক্ত হয়েছে। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা তাদের নিবিড় পর্যবেক্ষেণে রাখছেন।
এদিকে বরিশাল বিভাগে ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিভিন্ন প্রস্তুতি গ্রহণ সম্পন্ন শেষ হয়েছে। বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, বরিশাল বিভাগে ৪৭ টি সরকারী হাসপাতালেই ডেঙ্গু রোগী শনাক্তকরণের জন্য পরীক্ষার সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। প্রতিটি সরকারি হাসপাতালে ডেঙ্গু শনাক্ত করার জন্য পরীক্ষা বাড়ানোর তাগিদ দেয়া হয়েছে। জ্বরে আক্রান্ত কোন রোগী ভর্তি হলে হলে তাদের করোনার পাশাপাশী ডেঙ্গু পরীক্ষার জন্যও নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচ এম সাইফুল ইসলাম জানান, মেডিকেলের ৪ টি মেডিসিন ইউনিটে ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আলাদা কক্ষের ব্যবস্থা করা হয়েছে। সন্দেহজনক রোগীদের পরীক্ষার আওতায় আনা হচ্ছে। করোনা ভাইরাস ও ডেঙ্গুর লক্ষণ কাছাকাছি হওয়ায় চিকিৎসার শুরুতে দ্বিধায় পড়ছেন চিকিৎসকরা। তবে এই ধরনের রোগীদের করোনা ও ডেঙ্গু উভয় পরীক্ষাই করা হচ্ছে বলে জানান তিনি।
বরিশাল বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগের সহকারী পরিচালক ডাক্তার শ্যামল কৃষ্ণ মন্ডল জানান, বৃষ্টিপাত, এডিসের লার্ভার ঘনত্ব, আর্দ্রতাসহ বিভিন্ন কারণে বর্ষাকালে ডেঙ্গু প্রার্দুভাব দেখা দেয়। ডেঙ্গু প্রতিরোধে বিশেষ করে লার্ভা ধ্বংসে কাজ করব আমরা। সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়িতে জমা পানি রাখা যাবে না। পাশাপাশি সাধারণ জনগণকেও আরো সচেতন হতে হবে।
এমইউআর