১৪ বছর পরেও নির্মাণ হয়নি বেড়িবাঁধ, ঝুঁকিতে অর্ধলক্ষ মানুষ

এম. আহসানুল ছগির :
আজ সিডর দিবস। প্রলংয়করী ঘূর্নিঝড় সিডরের ১৪ বছর পরেও ইন্দুরকানীতে নির্মিত হয়নি সিডর বিধ্বস্ত ২৫ কিঃ মিঃ বেড়িবাধঁ। ফলে সীমাহীন দূভোর্গে আছে উপকূলীয় এলাকার অর্ধলক্ষাধিক বাসিন্দা। বেড়িবাঁধ না থাকায় নদীর তীরবর্তী ভাঙন কবলিত মানুষ ঝড় জলোচ্ছাসের সাথে লড়াই করে প্রকৃতির উপর নির্ভর করে বেঁচে আছে। ২০০৭ সালেন ১৫ নভেম্বর বয়ে যাওয়া প্রলংকারী ঘূর্ণিঝড় সিডরে কচাঁ-বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী প্রায় ৩০ কিঃ মিঃ বেড়ীবাধ একেবারে বিলিন হয়ে যায়। তেমনি ৫ হাজার বসতঘর বিধ্বস্ত, ৭২ জনের প্রাণহানী সহ ফসল, গাছপালা, গবাদিপশুর ব্যাপক ক্ষতি হয়। অধিকাংশ পূর্ণবাসনের কাজ হলেও এখনো অরক্ষিত রয়েছে বেড়ীবাধঁ। বিধ্বস্ত বেড়িবাধেঁর কয়েক কিঃ মিঃ সংস্কার করা হলেও পরবর্তী জলোচ্ছাসে তাও বিলিন হয়ে গেছে। এদিকে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কোন নজর নেই। এ উপজেলার নদী তীরবর্তী টগড়া, উমেদপুর, ইন্দুরকানী, কালাইয়া, সাঈদখালী, বালিপাড়া, চন্ডিপুর, কলারন, চরবলেশ্বর, খোলপটুয়া সহ ১২ টি গ্রামের পার্শ্ব দিয়ে নির্মিত ৩০ কিঃ মিঃ বেড়ীবাধের ২৫ কিঃ মিঃ এখনো অরক্ষিত।
ফলে স্বাভাবিক জোয়ারে গ্রামগুলো প্লাবিত হয়ে বাড়ীঘর, ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। সরেজমিনে কচাঁ নদীর তীরে টগড়া সহ কয়েকটি গ্রামের গিয়ে দেখা যায়, বেড়িবাঁধ একেবারে বিলীন হয়ে গেছে। তেমনি বসতঘর, ফসলি জমি নদীতে বিলীন হয়ে যাচ্ছে। কচাঁ নদীর টগড়া গ্রামের বাসিন্দা আঃ রব হাওলাদার জানান, সিডরে বেড়িবাঁধ বিধ্বস্ত হওয়ায় আমাদের বাড়ি ঘর নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। টগড়া গ্রামের ইউপি সদস্য আঃ রাজ্জাক হাওলাদর জানান, এ উপজেলার কচাঁ ও বলেশ্বর নদীর তীরবর্তী সিডরে বিধ্বস্ত বেড়ীবাধ আজও নির্মিত হয়নি। ফলে নদী তীরবর্তী মানুষগুলো সীমাহীন দুর্ভোগে রয়েছে।
এমবি
