ঢাকা সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

Motobad news

ঘুষ নিয়েও ১০ হাজার তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলেলেন পাউবো কর্মকর্তা

ঘুষ নিয়েও ১০ হাজার তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলেলেন পাউবো কর্মকর্তা
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

পটুয়াখালী : কলাপাড়ায় দেলোয়ার খলিফা নামের এক কৃষকের ১০ হাজার তরমুজ গাছ উপড়ে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার (১৬ জানুয়ারি) দুপুরের দিকে উপজেলার ধুলাস্বর ইউনিয়নের পশ্চিম চাপলি গ্রামের কৃষকের ১৫ হাজার তরমুজ গাছের মধ্যে ১০ হাজার গাছ উপড়ে ফেলেছেন পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বেড়িবাঁধ রক্ষা প্রকল্পের প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম। এমন অভিযোগ করেছেন ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক।

কৃষক দেলোয়ার জানান, কয়েক বছর ধরে বন্যানিয়ন্ত্রণ বাঁধের ঢালে বিভিন্ন সবজি চাষ করে আসছেন। ২ মাস আগে বন বিভাগের ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের অনুমতি নিয়ে ২ লাখ ৫০ হাজার টাকা খরচ করে তরমুজের চাষ শুরু করেন। চাষের জন্যে দায়িত্বে থাকা বন বিভাগের মোশাররফ নামের এক কর্মকর্তাকে ১০ হাজার টাকাও দেন তিনি। স্যার (প্রকৌশলী) হঠাৎ এসে তার প্রায় ১০ হাজার গাছ নিজে উপড়ে ফেলেন।

তিনি আরও জানান, স্যারের হাত, পা ধরেছি কিন্তু তারা শোনেনি। আমাকে ১টি মাস সময় দিলে আমার এই সর্বনাশটা হতো না। এখন গাছ উপড়ে ফেলেছেন তিনি। আমাকে বারবার মামলার হুমকি দিয়েছেন।

প্রতিবেশী রুস্তম আলী জানান, ‘আমরা গ্রামবাসী সবাই নিষেধ করেছি যে অন্তত ১টি মাস সময় তাকে দেওয়া হোক। তারপরও যদি কোনো ক্ষতি ওই ছেলে করে তার ক্ষতিপূরণ সে দেবে। কিন্তু তারা কারো কথা শোনেননি। সব গাছে ফল আসছে, সব উঠাইয়া ফালাইছে।’

টাকা নেওয়ার ব্যাপারে জানতে চাইলে বন বিভাগের দায়িত্বে থাকা গঙ্গামতি রেঞ্জ কর্মকর্তা মোশাররফ জানান, আমি কোনো টাকা-পয়সা নেইনি। 

পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতাধীন বেড়িবাঁধ রক্ষা প্রকল্পের প্রকৌশলী মনিরুল ইসলাম জানান, বেড়িবাঁধ রক্ষায় লাগানো ঘাস কেটে উঠিয়ে ফেলার কারণে কিছু জায়গা রেখে বাকি তরমুজ গাছ আমি উঠিয়ে ফেলেছি।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলী মো. আরিফ হোসেন জানান, এই ব্যাপারে আমি এখনো শুনিনি। খোঁজ নিয়ে দেখছি।


এসএমএইচ
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন