দুই বছর পর খোঁজ মিললো বির্তকিত প্রিয়া সাহার


বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নির্যাতনের মিথ্যা তথ্য দিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কাছে নালিশ করা সেই প্রিয়া সাহার খোঁজ মিলেছে। প্রায় ২ বছর পরে তিনি জনসম্মুখে এসেছেন। এই সময়টা তিনি একরকম আত্মগোপনেই ছিলেন।
কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে পাকিস্তান দূতাবাসের সামনে হিউম্যান রাইটস কংগ্রেস ফর বাংলাদেশ মাইনোরিটিসের (এইচআরসিবিএম) বিক্ষোভ কর্মসূচিতে তাকে অংশ নিতে দেখা গেছে।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৭ জুলাই হোয়াইট হাউজে ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে সাক্ষাতকালে প্রিয়া সাহা অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশ থেকে ৩ কোটি ৭০ লাখ সংখ্যালঘু গুম হয়েছে। এমনকি তার নিজের বাড়িতেও আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। তার ভিটে-মাটিও দখলে নিয়েছে।
তার ওই বক্তব্যে সে সময়ে দেশ ও প্রবাসে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয় এবং প্রতিবাদের ঝড় উঠে।
এদিকে নিউইয়র্কে আত্মীয়ের বাড়িতে অবস্থানকারী প্রিয়া সাহার সঙ্গে জামায়াতপন্থী একটি টেলিভিশনের কর্মীরা কয়েক দফা সাক্ষাৎ করেছেন বলে জানা গেছে।
মূলত বাংলাদেশ হিন্দু-বৌদ্ধ -খ্রিষ্টান ঐক্য পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন প্রিয়া সাহা।
এছাড়াও তিনি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) ‘শারি’-এর নির্বাহী পরিচালক হিসেবেও দায়িত্বরত ।
তার গ্রামের বাড়ী পিরোজপুর জেলার চরবানিরীর মাটিভাঙ্গা নাজিরপুর। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছেন প্রিয়া। রোকেয়া হলে থাকতেন তিনি।
সে সময় তিনি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। তিনি ‘মহিলা ঐক্য পরিষদ’এর কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
বিতর্কিত কর্মকাণ্ডের জন্য গতবছর তাকে মহিলা ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদকের পদ থেকে বহিষ্কার করা হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
বর্তমানে ‘শারি’ এনিজিও সংস্থার মাধ্যমে প্রিয়া নিজ এলাকার দলিত সম্প্রদায়কে নিয়ে কাজ করেন।
তার স্বামী মলয় সাহা দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-পরিচালক। কয়েক বছর ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে প্রিয়া সাহার দুই মেয়ে বসবাস করছেন। কিছুদিন পূর্বে সেখানে যান প্রিয়া সাহা।
এসএমএইচ
