পাথরঘাটায় পাখির সাথে মানুষের শক্রতা!

মানুষের সাথে মানুষের শক্রতা হয় এ বিষয়ে সকলে অবগত। কিন্তু পাখির সাথে মানুষের শক্রুতা! কবুতরকে আমরা বলি শান্তির পায়রা। কোন ভাল কাজের উদ্বোধন করার সময় অনেকে কবুতর উড়িয়ে থাকেন। শখ করে গ্রামের প্রায় বাড়িতে লাভজনক গৃহ পালিত পাখি হিসাবে মানুষ এখন কবুতর পালন করে।
তবে এই গৃহ পলিত পাখি যখন খাদ্যাভাবে কৃষকের ক্ষেতে গিয়ে ফসল খায় তখনই কৃষকের শক্র হয়ে দাড়ায়। তেমনি পাথরঘাটায় কবুতরে মুগ ডাল ক্ষেত নষ্ট করায় শাহআলম নামের এক কৃষক বিষ দিয়ে শতাধীক কবুতরসহ নানা প্রজাতির পাখি মেরে ফেলেছে বলে অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার বেলা ৫ টার দিকে উপজেলার চরদুয়ানী ইউনিয়নের মঠেরখাল গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
মঠেরখাল গ্রামে ক্ষতিগ্রস্থ কবুতর খামারী সেলিম মোল্লা ও ফিরোজ মিয়া জানান, প্রতি বছর এই সিজনে দক্ষিণাঞ্চলে মূগডাল চাষের বাম্পার ফলন হয়। যখন গাছে ফলন ধরে তখন কবুতরসহ নানা ধরনের পাখি সংগবদ্ধ হয়ে মূগডাল ক্ষেতে বসে ক্ষতের ফসল খাবার হিসেবে খায়। তখন অসাধু কিছু সংখ্যক কৃষক কবুতর, ঘুঘু পাখি,বাবুই পাখি,চড়াই, শালিকসহ নানা প্রজাতির পাখি নিধন করার জন্য বিভিন্ন ধরনের কৌশল অবলম্বন করে। এবছর বৃষ্টি না হওয়ায় এখন পর্যন্ত গাছে কোন ফল ধরেনী।
এ কারণে শাহআলম নামের এক কৃষক কবুতর,ঘুঘুসহ হরেরক রকমের পাখি মারার জন্য ধানের সাথে বিষ মিশিয়ে তার ডালক্ষেতে ছিটিয়ে দেয়। ওই বিষাক্ত ধান খেয়ে শতাধীক কবুতর, ঘুঘু ও বাবই পাখিসহ নানা প্রজাতির পাখি মারা যায়।
শাহআলমসহ বেশ কয়েকজন বিষে আক্রান্ত ঘুঘু পাখি গুলো ধরার সময় গ্রামের লোকজন তাদেরকে ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্থ কবুতর খামারী সেলিম মোল্লা ও ফিরোজ মিয়াসহ ১০/১২ জনে আজ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট দোষী ব্যাক্তির বিচার চেয়ে মামলা করবেন বলে জানান। তারা ক্ষেত থেকে শতাধিক মৃত কবুতর ও ঘুঘু পাখি সংরক্ষন করেছে।
পাথরঘাটা উপজেলা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মনিরুল হক জানান, আমি রাত ১০টার পরে বিষয়টি শুনেছি। আগামীকাল বুধবার সকালে ঘটনা স্থলে গিয়ে ঘটনার যাচাই বাছাই করে পাথরঘাটা উজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) সাবরিনা সুলতানার সাথে আলোচনা করে বন্যপ্রানী আইনে ব্যাবস্থা নিব বলে জানান।
এমবি
