ঢাকা শুক্রবার, ০১ ডিসেম্বর ২০২৩

Motobad news

বরগুনায় আউশ আবাদে ধস, ক্ষতির মুখে কৃষক

বরগুনায় আউশ আবাদে ধস, ক্ষতির মুখে কৃষক
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

এ বছর বরগুনায় আউশ ধান আবাদে ধস দেখা দিয়েছে। সঠিক সময়ে আবাদি জমি পরিচর্যা করা হলেও সেরকম ফলন হয়নি। বাজারে ধানের দামও কম ছিল। এতে ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকরা। কৃষি বিভাগ বলছে, অনাবৃষ্টি ও অতিবৃষ্টির কারণে গত কয়েক বছরের তুলনায় চলতি বছর জেলায় আউশ ধান আবাদে ফলন বিপর্যয় দেখা দিয়েছে।

জেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর জেলায় আউশ ধানের আবাদ হয়েছে হয়েছে ১৩ হাজার হেক্টর জমিতে। চলতি বছর জেলায় ৫৭ হাজার হেক্টর জমিতে আউশ ধান আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৪৪ হাজার ১৫০ হেক্টর জমিতে।

কৃষি বিভাগের তথ্য মতে, গত বছরের তুলনায় চলতি বছর হেক্টর প্রতি ১ মেট্রিক টন করে ধানের উৎপাদন কম হয়েছে। গত বছর হেক্টর প্রতি ধানের উৎপাদন হয়েছিল ৪ মেট্রিক টন। এ বছর উৎপাদন হয়েছে ৩ মেট্রিক টন। আউশ আবাদের সময় অনাবৃষ্টি এবং শীষ বের হওয়ার সময় অতিবৃষ্টির কারণে ফলন কম হয়েছে। এ ছাড়া আউশ আবাদের সময় অনাবৃষ্টির কারণে কমেছে আবাদের পরিমাণ।

বরগুনা সদর উপজেলার বড় লবণগোলা গ্রামের কৃষক শহিদ বলেন, ৪০ শতাংশ জমিতে আউশ আবাদ করে লাভ তো হয়নি, উল্টো ক্ষতি হয়েছে ৩ হাজার টাকা। ধান আবাদের শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমার খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকা। কিন্তু জমিতে যে ধান উৎপাদন হয়েছে; সেটা মাত্র ৭ হাজার টাকায় বিক্রি করেছি।

নজরুল ইসলাম নামে আরেক চাষি বলেন, নানা কারণে এবছর আউশ ধানের ফলন খারাপ হয়েছে। যে টাকা খরচ হয়েছে তার অর্ধেক টাকাও আসেনি। এ ছাড়া বাজারে ধানের দাম গত বছরের চেয়ে কম।

একই গ্রামের মজদি খলিফা বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর আবাদ খরচ বেশি হয়েছে। ধান আবাদের সময় বৃষ্টি না থাকায় সেচের জন্য বাড়তি খরচ করতে হয়েছে। এ ছাড়া অনাবৃষ্টির কারণে শুরুর দিকে পোকামাকড় দমন করতে হয়েছে। বৃষ্টি থাকলে খরচের পরিমাণ কম হতো।

বরগুনা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ধান আবাদ মৌসুমের শুরুতে অনাবৃষ্টি এবং শীষ বের হওয়ার সময় অতিবৃষ্টির কারণেই গত কয়েক বছরের তুলনায় এ বছর আউশের উৎপাদন ব্যাহত হয়েছে। এ ছাড়াও কৃষকরা মণ প্রতি ১৫০-২০০ টাকা কম দাম পেয়েছেন ধান বিক্রি করে। তাই তাদের ক্ষতির পরিমাণও বেশি।

এ বিষয়ে বরগুনা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের কার্যালয়ের উপ-পরিচালক আবু সৈয়দ মো. জোবায়দুল আলম বলেন, আউশ আবাদ করে কৃষকরা এবার লোকসানে পড়ার কারণে আগামী বছর এই ধানের আবাদ কমে আসবে।


আরজেএন
গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন