ঢাকা বুধবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫

Motobad news
শিরোনাম
  • ফের বাংলাদেশের হাইকমিশনারকে তলব করলো ভারত অবৈধ পথে ইরানে প্রবেশ চেষ্টা, তীব্র শীতে ৪০ আফগান অভিবাসীর মৃত্যু রোজায় কৃত্রিম সংকট ঠেকাতে পৌনে ৫ কোটি লিটার ভোজ্যতেল কিনছে সরকার সন্ত্রাসীদের দৌড়ের ওপর রাখবেন, নইলে ওরা আপনাদের দৌড়ের ওপর রাখবে কলকাতায় বাংলাদেশ ডেপুটি হাইকমিশনের সামনে ফের বিক্ষোভ, সংঘর্ষ নোয়াখালীতে দুই পক্ষের সংঘর্ষে নিহত ৫ মাথায় বালিশ ঠেকিয়ে গুলি, কাটা হতো পেট, এরপর ফেলে দেওয়া হতো নদীতে বিএনপির সঙ্গে সমঝোতা নয়, ৩০০ আসনে প্রার্থী দেবে গণঅধিকার পরিষদ যে ৫৭ দল অংশ নিতে পারে নির্বাচনে, কী তাদের প্রতীক আমরা এমন নির্বাচন চাই, যেখানে ভয় ও বাধা থাকবে না: প্রধান উপদেষ্টা
  • আরও ভয়ংকর হতে পারে করোনা পরিস্থিতি : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

    আরও ভয়ংকর হতে পারে করোনা পরিস্থিতি : স্বাস্থ্য অধিদপ্তর
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    রোববার (১১ জুলাই) ভার্চুয়াল বুলেটিনে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মুখপাত্র অধ্যাপক ডা. মো. রোবেদ আমিন এই আশঙ্কা প্রকাশ করেন।

    এদিকে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও ২৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা এ যাবতকালের মধ্যে একদিনে সর্বোচ্চ মৃত্যু। এ নিয়ে এখন পর্যন্ত দেশে মোট মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৬ হাজার ৪১৯ জনে।

    এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে করোনা শনাক্ত হয়েছেন ১১ হাজার ৮৭৪ জন। এ নিয়ে দেশে মোট করোনা শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১০ লাখ ২১ হাজার ১৮৯ জনে।
    গত ১০ দিনে প্রায় এক লাখ কোভিড রোগী শনাক্ত হওয়ার পর সংক্রমণ ও মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড গড়ার প্রেক্ষাপটে অধিদপ্তর বলছে, এই ধারা চলতে থাকলে এক সপ্তাহ পর আর কোনো আইসিইউ ফাঁকা পাওয়া যাবে না।

    পরিস্থিতি মোকাবিলায় এপ্রিল থেকেই নানা বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়। এরপর স্থানীয় পর্যায়ে বিধিনিষেধ দিয়েও ফল না আসায় গত ১ জুলাই থেকে কঠোর লকডাউন জারি করা হয়।

    ডা. রোবেদ আমিন বলেন, সংক্রমণ এখনও বেড়েই চলেছে। অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে, হাসপাতালের সমস্ত খালি বেড পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে যদি আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে না পারি, পরিস্থিতি অত্যন্ত করুণ হয়ে যাবে। তখন সবাই মিলে বিপদে পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা অনেক বেশি থাকবে।

    বিভাগওয়ারি আক্রান্ত ও মৃত্যুর হিসাব তুলে ধরে তিনি জানান, ২৪ ঘণ্টায় (শনিবারের হিসাব) ঢাকা বিভাগে মৃত্যুর সংখ্যা ৭০, চট্টগ্রামে ২০, রাজশাহীতে ১৩, খুলনায় ৫১। রোববার ঢাকা বিভাগে মৃত্যু কমে ৫৬-তে নামলেও খুলনায় ৬৬-তে উঠেছে। চট্টগ্রামে মৃত্যু ঘটেছে ৩৯ জনের, রাজশাহীতে ২৬ জনের।

    রোগী শনাক্তের হার ঢাকায় ৪৯ দশমিক ৮৭ শতাংশ, চট্টগ্রামে ১৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, খুলনায় ১১ দশমিক ০৪ শতাংশ বলেও জানান ডা. রোবেদ আমিন।
    তিনি জানান, জুন মাসে এক লাখ ১২ হাজার ৭১৮ জন রোগী শনাক্তের পর জুলাইয়ের প্রথম ১০ দিনেই তা প্রায় এক লাখ বেড়ে গেছে।

    ডা. রোবেদ বলেন, সব জেলাতেই কোভিড-১৯ ছড়িয়ে পড়েছে এবং সংক্রমণ ক্রমাগত বৃদ্ধি পাচ্ছে। শনাক্ত বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ছে। বতর্মানে দৈনিক শনাক্ত ১১ হাজারের ঘরে আছে। এভাবে চলতে থাকলে একদিনে ১৪ থেকে ১৫ হাজারে পৌঁছে যেতে বেশি সময় লাগবে না।

    এই পরিস্থিতি চললে হাসপাতালে শয্যা সঙ্কট তৈরি হবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করে ডা. রোবেদ বলেন, ৭ থেকে ১০ শতাংশ রোগীর অবস্থা মুমূর্ষু হয়ে যেতে পারে, যারা হাসপাতালে ভর্তি হতে পারেন। কারও কারও আইসিইউর প্রয়োজন হতে পারে।

    এখন ঢাকায় মাত্র ১৮শর মতো শয্যা খালি আছে জানিয়ে তিনি বলেন, আমরা যেভাবে সংক্রমিত হচ্ছি, হাসপাতালে রোগীর চাপ যদি বাড়তেই থাকে, আগামী সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে এই সংখ্যাগুলো খালি দেখাবে না। বতর্মানে মাত্র ২১৮টি কোভিড আইসিইউ খালি আছে। বর্তমান অবস্থা চলতে থাকলে আগামী ১ সপ্তাহ পর আর কোনো আইসিইউ বেড খালি থাকবে না।


    এমবি
    গুগল নিউজে (Google News) দৈনিক মতবাদে’র খবর পেতে ফলো করুন

    সর্বশেষ