আমতলী- তালতলীতে অতি বৃষ্টিতে ভেসে গেছে কোটি টাকার মাছ!


সাগরে লঘুচাপ ও একটানা অতি বর্ষণে বরগুনার আমতলী ও তালতলী উপজেলা ৯ হাজার ৩৩৪টি পুকুর, ঘের ও খামার পানিতে প্লাবিত হয়ে কোটি টাকার উপরে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে গেছে।
দু’উপজেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, সাগরে লঘূচাপ ও একটানা অতি বৃষ্টিতে আমতলী উপজেলার ১টি পৌরসভা ও ৭টি ইউনিয়নের ২ হাজার ৮০০ পুকুর, ১৪টি ঘের ও ২৫টি মাছের খামার বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়। এতে ২ হাজার ৭৮৩ জন মাছ চাষীর ৫১.৩০ মেট্রিক টন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা।
অপরদিকে তালতলী উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ৬ হাজার ৩৯০টি পুকুর ও ১০৫টি মাছের ঘের বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়। এতে ৬৩৮ জন মাছ চাষীর ২৫.০৭ মেট্রিকটন বিভিন্ন প্রজাতির মাছ বৃষ্টির পানিতে ভেসে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ২৫ লক্ষ টাকা।
তালতলী উপজেলার বড়বগী ও কড়াইবাড়িয়া ইউনিয়নের মৎস্যচাষী মোঃ নাসির উদ্দিন এবং মোঃ হাফিজুল হক শিকদার বলেন, অতি বৃষ্টিতে আমাদের মাছের ঘেরগুলো প্লাবিত হয়ে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে গেছে। ঘেরের চারদিকে নেট দিয়েও মাছ রক্ষা করতে পারিনি।
আমতলী পৌরসভার ৮নং ওয়ার্ডের মৎস্যচাষী মোঃ হানিফ মিয়া বলেন, আমার ৬০ শতকের মাছের ঘেরটি বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে প্রায় দেড় লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে গেছে।
তালতলী উপজেলা মৎস্য অফিসার মোঃ মাহবুবুল আলম মুঠোফোনে বলেন, সাগরে সৃষ্ট লঘুচাপ ও একটানা অতি বর্ষণে এ উপজেলার ৬ হাজার ৩৯০টি পুকুর এবং ১০৫টি মাছের ঘের পানিতে প্লাবিত হয়ে প্রায় ২৫ লক্ষ টাকার বিভিন্ন প্রজাতির মাছ ভেসে গেছে।
আমতলী উপজেলা সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোসাঃ হালিমা সরদার বলেন, লঘুচাপ ও একটানা অতি বর্ষণে ১টি পৌরসভা এবং উপজেলার ৭টি ইউনিয়নে ২ হাজার ৮০০ পুকুর, ১৪টি ঘের ও ২৫টি মাছের খামার বৃষ্টির পানিতে প্লাবিত হয়ে চাষকৃত মাছ ভেসে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ প্রায় ৮০ লক্ষ টাকা।
এমবি
