ঘূর্ণিঝড় সিত্রাংয়ের তান্ডব শুরু মঠবাড়িয়ায়, ফসলের ব্যপক ক্ষতির আশংকা


চলমান ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া তান্ডব শুরু করেছে। সিত্রাং মোকাবিলায় উপজেলা প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট বিভাগ ব্যপক প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন। রবিবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সভাপতিত্বে এ জরুরী বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। এর আগে রবিবার দুপুরে পিরোজপুর জেলা প্রশাষকের কার্যালয় এ সংক্রান্ত বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এদিকে গত রোববার রাতভর অভিরাম বৃষ্টি ও থেমে থেমে ধমকা বাতাসে উপক‚লীয় পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার মানুষেরে মাঝে ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং এর আতঙ্ক ছড়িয়ে পরেছে। বলেশ্বর নদীর ৩ থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় বড়মাছুয়া, ছোট মাছুয়া, খেজুরবাড়িয়া, উলবাড়িয়া, বেতমোর, খেজুরবাড়িয়া, খেতাছিড়া. কচুবাড়িয়া, সাপলেজা, আমড়াগাছিয়া, সাংরাইল, কাটাখাল গ্রাম ও মাঝের চড়ের মানুষেরা জলোচ্ছাসের আতঙ্কে রয়েছে।
এ দিকে অবিরাম বর্ষণে উপজেলার ১১ টি ইউনিয়নের ফসলের মাঠ, পুকুর, মাছের ঘের পানিতে নিমজ্জত হয়ে পরেছে। এলাকার মানুষজন ঘরবন্দি অবস্থায় আতঙ্কে রয়েছে। এদিকে দমকা ঝড়ে উপজেলা বিভিন্ন গ্রামে কিছু গাছ পালা ভেঙ্গে পড়েছে। কলা ক্ষেত ও পানের বরজ এবং শীতকালীন আগাম সবজী ক্ষেতের ব্যপক ক্ষতি হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঊর্মি ভৌমিক জানান, চলমান ঘূর্ণিঝড় সিত্রাং মোকাবিলায় উপজেলার ৭৮ টি আশ্রয় কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রতিটি আশ্রয় কেন্দ্রের সামনে স্বেচ্ছাসেবীর দাড়িয়ে রয়েছেন। এছাড়াও ১৭‘শ সিপিপি বা স্বেচ্ছাসেবী প্রস্তুত রয়েছে। বিশুদ্ধ পানি ও শুকনো খাবার মজুদ রাখা হয়েছে। তিনি জনসাধারণকে আতংকিত না হয়ে সচেতন থাকার আহ্বান জানান।
বলেশ^র নদীর মধ্যবর্তি মাঝেরচড়ের বাসিন্দা আ. হালিম জানান, বরেশ^রের নদীতে থেকে ৪ ফুট পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। নদী উত্তাল রয়েছে। স্থানীয় জেলে পরিবার গুলো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার প্র¯ুÍতি নিচ্ছে।
বড়মাছুয়ার খেজুরবাড়িয়া গ্রামের ইউপি সদস্য বিধান চন্দ্র মিস্ত্রি জানান, লঞ্চঘাট ও সম্প্রতি স্টিমার ঘাট এলাকার বেড়িবাধের বড়মাছুয়া স্টিমার ঘাট এলাকায় জিও ব্যাগ ফেলানো হয়েছে। এসব জিও ব্যাগ ধসে যাওয়ার আতঙ্কে রয়েছে এলাকাবাসী। ৩ থেকে ৪ ফুট পানি হওয়ায় আমন ধানের চারা ডুবে আছে। এতে আমন ধান হেলে পড়ার আশংঙ্কা করছেন স্থানীয় কৃষকরা। এসময় আমন ধান বিনষ্ট হলে পরবর্তীতে আর ধান রোপন করার সময়ও নেই। এতে বৃষক ব্যাপক ক্ষতির সম্মূখীন হবেন।
এইচকেআর
