ববি শিক্ষার্থীদের মহাসড়ক অবরোধ


অবকাঠামোগত উন্নয়ন, আয়তন বৃদ্ধি এবং নিরাপদ পরিবহন ব্যবস্থা নিশ্চিতের দাবিতে তৃতীয় দিনের মতো বরিশাল-কুয়াকাটা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার বিকাল ৩টা থেকে বিকাল সাড়ে ৫টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল গেটের সামনে মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা।
এসময় মহাসড়কের দুই প্রান্তে অসংখ্য যানবাহনের দীর্ঘ লাইন পড়ে যায়। যানবাহনে আটকে থাকা যাত্রীদের পড়তে হয় সীমাহীন ভোগান্তিতে। অবরোধে আটকেপড়া নৌ-বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয় উপাচার্যের উপস্থিতিতে বিষয়টি সমাধান করা হয়েছে।
বরিশাল মেট্রোপলিটন পুলিশের বন্দর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম জানিয়েছে, নৌ-বাহিনীর সদস্য এবং শিক্ষার্থীদের মধ্যে একটু ভুল বোঝাবুঝি হয়েছিল। পরে ভিসি স্যার বিষয়টি সমাধান করেছেন। নৌ-বাহিনীর সদস্যরা ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেন। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।
আন্দোলনরত বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী জোবায়ের ইসলাম বলেন, “আমরা শান্তিপূর্ণভাবে অবরোধ চালিয়ে যাচ্ছিলাম। এসময় নৌবাহিনীর একটি একটি জিপ ও দুটি বাস বেরিকেড ভেঙে রং রোডে ঢুকে পড়ে। এরই জেরে শিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়।”
এ বিষয়ে বক্তব্য দিতে অপরাগতা প্রকাশ করেন বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য মোহাম্মদ তৌফিক আলম। বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সাংবাদিকদের সাথে কথা বলার মতো পরিস্থিতি এখন নেই।”
এর আগে একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরে বহুদিন ধরে মানববন্ধন, বিক্ষোভ মিছিল ও গণস্বাক্ষর কর্মসূচি করে থাকলেও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন কিংবা বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) কোনো প্রতিনিধি তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ে বর্তমানে ৭টি অনুষদে ২৫টি বিভাগের প্রায় ১০ হাজার শিক্ষার্থীদের পাঠদানের জন্য প্রয়োজন অন্তত ৭৫টি কক্ষ। কিন্তু আছে মাত্র ৩৬টি।
কক্ষ সংকটের কারণে অনেক সময় খোলা মাঠে শিক্ষার্থীদের পাঠদান করানো হচ্ছে। শ্রেণিকক্ষ ও শিক্ষকসংকটের কারণে অধিকাংশ বিভাগে সেশনজট বাড়ছে। প্রয়োজনীয় অবকাঠামোও গড়ে ওঠেনি।”
এইচকেআর
