পানি বন্দী দশা থেকে মুক্তি পাচ্ছেনা কাউখালীর দুইশত পরিবার


কাউখালীতে মাসের পর মাস পানি বন্দী থাকতে হচ্ছে উপজেলা সদরের প্রায় দুইশত পরিবার। উপজেলার কচুয়াকাঠী গ্রামের কাউখালী আদর্শ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও কাজী হারুন অর রশিদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন প্রায় দুইশত পরিবার দীর্ঘদিন যাবৎ বছরের তিন মাস থাকছে পানি বন্দী অবস্থায়। জনপ্রতিনিধি, উপজেলা প্রশাসন এবং সংশিষ্ট দপ্তরে এলাকাবাসী বার বার অবহিত করা সত্ত্বেও টনক নড়ছেনা কর্তৃপক্ষের।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে প্রায় প্রতিটি বসতঘরের মেঝে পানি ছুঁই ছুঁই।
এলাকার আঃ রশিদ হাওলাদার আক্ষেপ করে বলেন, আমরা মনে হয় এদেশের নাগরিক না। তা নাহলে আজ প্রায় ৫ বছর যাবৎ বছরের তিন মাস পানি বন্দী দশায় রয়েছি। অনেক জনপ্রতিনিধি এসে আশ্বাস দিয়ে যায় কিন্তু কিছুদিন পর আর কোন কার্যক্রম দেখা যায় না।
বয়:বৃদ্ধ আঃ বারেক বলেন, একটু বৃষ্টি হলে আমরা ঘর থেকে বের হতে পারি না। স্কুল কলেজ পড়–য়া ছেলে মেয়েদের পানিতে ভিজে যেতে হয়। এখানে যদি ড্রেনেজ ব্যবস্থা করা হয় তাহলে এলাকাবাসী এই দশা থেকে মুক্তি পাবে। এ ছাড়া বৃষ্টি কিংবা জোয়ারের পানি একবার উঠলে তা আর দুই তিন মাসেও নামতে পারেনা। যার ফলে বিভিন্ন ডোবা মশা মাছির আবাসস্থলে পরিণত হয়। আর মশা মাছির জন্য পানি বাহিত রোগসহ ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয় শিশু থেকে বয়:বৃদ্ধরা। আমরা এহেন পানি বন্দী দশা থেকে মু্িক্ত চাই।
এ ব্যাপারে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান জানান, আমি সবে মাত্র দায়িত্বভার গ্রহণ করেছি, সরেজমিন পরিদর্শন শেষে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
এমবি
