লাল মিয়া সাহেবকে আজো ভোলেনি বরগুনাবাসী


তিনি চলে গেছেন প্রায় ছয় দশক। কিন্তু নদী বিধৌত উপকূলীয় অঞ্চল বরগুনার মানুষ এখনো স্মরণ করছেন শ্রদ্ধার সাথে। একাধারে রাজনীতিবিদ, সমাজ ও জনপদের উন্নয়নের রূপকার ছিলেন বলেই নামটি এখনো জাজ্বল্যমান। মূল নাম আব্দুল কাদের। তবে ডাক নাম লাল মিয়া। মূল নামকে ছাপিয়ে লাল মিয়া নামে আজো তিনি সমুজ্জল। বরগুনা শহরে লাল মিয়া সাহেব নামেই সমাদৃত। এখনও মানুষ তার কর্মের জন্য স্মরণ করেন। মানুষের মুখে মুখে এখনো তার রেখে যাওয়া দৃষ্টান্তের গল্প শোনা যায়। মহান এই মানুষটি ১৯৬৪ সালের ১৭ আগস্ট সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে পারি জমান।
লাল মিয়া সাহেব ১৯৩৭ সালে বরগুনা থেকে প্রথমবারের মতো অবিভক্ত বাংলায় এ.কে ফজলুল হকের কৃষক শ্রমিক পার্টি থেকে মেম্বর অফ লেজিসলেটিভ এসেম্বেলি (এমএলএ) নির্বাচিত হন। তৎকালীন জেলা বোর্ডের সদস্য ছিলেন টানা দুইবার। পাঁচবার ছিলেন বরগুনা ইউনিয়ন বোর্ডের প্রেসিডেন্ট। বরগুনা বন্দর ক্লাব, বরগুনা মুসলিম হাই স্কুল (বর্তমানে বরগুনা মাধ্যমিক বিদ্যালয়) এবং বরগুনা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তিনলেনের বরগুনা বাজার তার উদ্যোগেই সম্প্রসারণ করা হয়। তার কাজের সম্মানে ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্ট থেকে আবারও এমএলএ নির্বাচিত হন।
মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত তিনি মানুষের কল্যানে নিয়োজিত ছিল।
এসএমএইচ
